আসাদুজজামান: সাতক্ষীরার চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র ইমন হত্যা মামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইননুনাগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন নিহত ইমনের বাবা শেখ ইকবাল হাসান লিটন।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে সিআইডি অফিসার সাইফুল ইসলামের প্রশংসা করে বলেন, এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাগেরহাটের সিআইডি ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম এই মামলার সঠিক তদন্ত করেছেন। তিনি একজন সৎ, সাহসি ও ধার্মিক ব্যক্তি। আমি তার প্রতি পুরাপেুরি সন্তষ্ঠ। তিনি সম্প্রতি আমার আপন ভাই এ মামলার বাদী শেখ আলমগীর হাসান আলমকে দীর্ঘ তদন্ত শেষে ইমন হত্যা মামলার মুলপরিকল্পনাকারী হিসাবে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠান। এ ঘটনার পর আমার আপন বড় ভাই জাহাঙ্গীর হাসান খোকন আমাকে ঘরের বাইরে থেকে তালা বন্ধ করে রাখে এবং পরে আমার স্ত্রীকে ও আমাকে ভুল বুঝিয়ে আদালতে নিয়ে ৪ টি ননজুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে সই করে নেয়। এর প্রতিবাদে আমি থানায় একটি জিডি করি। যার নং-২৯, তারিখ-০১.০৭.১৮।
তিনি বলেন, আলম গ্রেফতারের দীর্ঘ ১২ দিন পর রোববার দুপুরের আলমের স্ত্রী তানিয়া সুলতানা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আমার ভাইকে একজন দায়িত্ববান লোক হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। অথচ ইমন হত্যার এজাহার থেকে শুরু করে মামলা পরিচালনা পর্যন্ত কোন দায়িত্ব আমি তাকে দেয়নি। বরং এটাই সত্য যে আমি, আমার স্ত্রী, ছোট ছেলে রিমন কাউকে না জানিয়ে আমার ভাই আলম গত ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারী নিজে বাদী হয়ে সুলতানপুরের শেখ বখতিয়ার রহমান বিপ্লব, শেখ মোস্তাফিজুর রহমান মুরাদ ও রাজা মোল্লা রনির বিরুদ্ধ থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন। অথচ ইমন হত্যার বিষয়টি যে প্রথমে আমাাদের বাড়িতে খবর দেয় সেই আব্দুর রশিদ ওরফে মুচি রশিদ আদৌ আমার ছেলেকে চিনতোনা। সে একজন বাইরের লোক। তার বাড়ি সদর উপজেলার ধুলিহর গ্রামে।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারী আমার ছেলে ইমন তার চাচা আলমগীর হাসান আলমের কাছে গিয়ে ফিরে আসেনি। পরদিন ইমনের লাশ আমতলা মৎস্য ঘেরে পাওয়া যায়। তিনি আরো বলেন, আমার ছেলে ইমনের সাথে আমার ভাই আলমের পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে ওই সময় বিরোধ তৈরী হয়।
তিনি এসময় জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে তার ছেলে ইমন হত্যাকান্ডে জড়িতদের বিচার ও ফাঁসি দাবী করেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, শেখ বখতিয়ার রহমান বিপ্লব, শেখ মোস্তাফিজুর রহমান মুরাদ ও রাজা মোল্লা রনি।
পূর্ববর্তী পোস্ট