বিদেশের সংবাদ: ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি বলেছেন, আমেরিকার জানা উচিত যে, তার দেশের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠার অর্থ হচ্ছে সব শান্তির উৎস এবং একইসঙ্গে তার দেশের সঙ্গে যুদ্ধে যাওয়ার অর্থ হচ্ছে সব ধরনের যুদ্ধের উৎস।
রবিবার তেহরানে বিদেশে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠকে প্রেসিডেন্ট রুহানি আমেরিকার প্রতি কড়া হুঁশিয়ারি বাণী উচ্চারণ করে বলেছেন, মার্কিনীদের খুব ভালোভাবেই জেনে রাখা উচিত যে ইরানের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার অর্থ হচ্ছে সব শান্তির উৎস এবং ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ যাওয়ার অর্থ হচ্ছে সব ধরনের যুদ্ধের উৎস।
রুহানি বলেন, মার্কিনীদের অবশ্য জানতে হবে যে ইরানি জাতি কখনোই কারো কাছে নতি স্বীকার করবে না।
রুহানি আরও বলেন, ট্রাম্প আমরা একটি গৌরবময় জাতি এবং অতীতকাল থেকেই এ অঞ্চলের সমুদ্রপথে আমরা নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিয়ে আসছি। আপনাকে বলছি, সিংহের লেজ নিয়ে খেলবেন না, এর জন্য কিন্তু আপনাকে অনুতপ্ত হতে হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকার বিদ্বেষী ও শত্রুতামূলক নীতি বেড়েই চলছে। গত ৮ মে ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৫ সালে ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে সাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকাকে বের করে নেন। এরপর তিনি ইরানের বিরুদ্ধে কেবল নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল নয়, যারা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা মানবে না এমন তৃতীয় দেশের বিরুদ্ধেও পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দেন। এছাড়া, সম্প্রতি হোয়াইট হাউজ ইরানের তেল বিক্রি শূন্যের কোটায় নিয়ে আসারও হুমকি দেয়।
ইরানের কর্মকর্তারা আমেরিকার এসব পদক্ষেপকে তেহরানের বিরুদ্ধে ‘অর্থনৈতিক যুদ্ধ’ চাপিয়ে দেয়ার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন।
প্রেসিডেন্ট রুহানি আরও বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন হুমকি বিপরীত ফল বয়ে আনবে। হুমকি ইরানি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করবে এবং নিশ্চিতভাবেই আমরা আমেরিকাকে এ ক্ষেত্রে পরাজিত করবো। এক্ষেত্রে আমাদের হয়ত কিছু মূল্য দিতে হবে তবে বিনিময়ে এর সুফল হবে অনেক বড়।