আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে রেজাউল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশ বলছে, তিনি আন্তঃজেলা মোটর সাইকেল চোরাই সিন্ডিকেটের হোতা। তার বিরুদ্ধে মোটর সাইকেল চুরি, মাদকসহ এক ডজন মামলা রয়েছে।
শুক্রবার মধ্যরাতে শ্যামনগরের ভুরুলিয়া ইউনিয়নের খানপুর বাজার সংলগ্ন একটি ইটভাটার কাছে কালভার্টের ওপর এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহত রেজাউল ইসলাম (৪২) শ্যামনগরের বাদোঘাটা গ্রামের আবদুল মাজেদ দফাদারের ছেলে। বন্দুকযুদ্ধের সময় পুলিশের তিন কনস্টেবল আহত হন। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ারশুটার গান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, মোটর সাইকেল চোরাই সিন্ডিকেটের হোতা রেজাউল ইসলামকে ঢাকার পল্লবী থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার একটি গোপন আস্তানা থেকে গ্রেফতার করে। পরে শ্যামনগর থানা পুলিশ তাকে শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরায় নিয়ে আসে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মটরসাইকেল চোরাই সিন্ডিকেটের আরও তিন সদস্য শামীম, শাহজাহান ও সাহিদুলকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় একটি চোরাই মোটর সাইকেলও জব্দ করা হয়।
জেলা পুলিশের তথ্য কর্মকর্তা ও বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, শুক্রবার মধ্য রাতে রেজাউলকে নিয়ে খানপুর এলাকায় তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আরও মোটর সাইকেল উদ্ধার করতে গেলে সেখানে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হন রেজাউল। তাকে দ্রুত শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
তিনি আরো জানান, তার বিরুদ্ধে এক ডজনেরও বেশি মামলা রয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য তার লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট