দেশের খবর: রাজধানীর কুর্মিটোলায় বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিয়েছে। এতে করে সোমবার বিকেল চারটা থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
আজ সকাল থেকে বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে রাখলেও দুপুর দেড়টার দিকে শেওড়া রেলগেটে এলাকায় অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। নিরাপত্তাজনিত কারণে দুপুর দেড়টা থেকে ঢাকার সঙ্গে সব ধরনের রেল চলাচল বন্ধ রাখে রেল কর্তৃপক্ষ। পরে দুপুর সাড়ে তিনটার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে জানান ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোজাম্মেল হোসেন।
এরপর হোটেল র্যাডিসনের সামনে থেকে শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দেওয়া হলে বিমানবন্দর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিকেল চারটা থেকে বিমানবন্দর সড়কের উভয় পাশে যান চলাচল শুরু হয় বলে জানিয়েছেন ডিসি ট্রাফিক প্রবীর কুমার রায়।
এর আগে নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের বক্তব্য প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা এবং বেপরোয়া গাড়ি চালকদের ফাঁসির দাবিসহ ৯ দফা দাবি জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি হলো-
১. বেপোরোয়া ড্রাইভারকে ফাঁসি দিতে হবে এবং এই শাস্তি সংবিধানে সংযোজন করতে হবে।
২. নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর গতকালের বক্তব্য প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।
৩. শিক্ষার্থীদের চলাচলে এমইএস ফুটওভার ব্রিজ বা বিকল্প নিরাপদ ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪. প্রত্যেক সড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাতে স্পিড ব্রেকার দিতে হবে।
৫. সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্র-ছাত্রীদের দায়ভার সরকারকে নিতে হবে।
৬. শিক্ষার্থীরা বাস থামানোর সিগন্যাল দিলে, থামিয়ে তাদের বাসে তুলতে হবে।
৭. শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
৮. ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলাচল বন্ধ ও লাইসেন্স ছাড়া চালকরা গাড়ি চালাতে পারবে না।
৯. বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া যাবে না।