দেশের খবর: নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শিক্ষার্থীরা যে ৯ দফা দাবি জানিয়েছিল, এর সবগুলোই যৌক্তিক এবং সবগুলোই বাস্তবায়নের জন্য তিনি আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। টার্মিনালে চালকদের সনদপত্র পরীক্ষা ও সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে সড়ক পরিবহন আইন পাস করা হবে। সেই আইনে জাবালে নূরের চালকদের শাস্তি দেওয়া হবে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এরমধ্যে দুই-একটি দাবি বাস্তবায়নে কিছুটা সময় লাগবে।
তিনি আরো বলেন, বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর নিহতের ঘটনায় দেশজুড়ে চলা আন্দোলনে একটি স্বার্থান্বেষী মহল সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রদল ও শিবির নেতাদের এ বিষয়ে উসকানি দিতে দেখা গেছে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সব কর্মসূচি প্রত্যাহার আহবান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাছে আমার অনুরোধ, যথেষ্ট হয়েছে, তোমরা ক্লাসে ফিরে যাও, বাসায় ফিরে যাও।
শিক্ষার্থীরা ফিরে গেলে পরবর্তীতে তাদের কোনো ধরনের হয়রানি করা হবে না। এমনকি তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কোনো ধরনের শাস্তি কিংবা ছাড়পত্র না দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।
শিক্ষার্থীরা যে ৯ দফা দাবি করেছে সেগুলো হচ্ছে–
১. বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো ড্রাইভারকে ফাঁসি দিতে হবে এবং এই বিধান সংবিধানে সংযোজন করতে হবে।
২. নৌপরিবহন মন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।
৩. ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলাচল বন্ধ ও লাইসেন্স ছাড়া চালকরা গাড়ি চালাতে পারবেন না।
৪. বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়া যাবে না।
৫. শিক্ষার্থীদের চলাচলে এমইএস ফুটওভারব্রিজ বা বিকল্প নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৬. প্রত্যেক সড়কে দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় স্পিডব্রেকার দিতে হবে।
৭. সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্রছাত্রীদের দায়ভার সরকারকে নিতে হবে।
৮. শিক্ষার্থীরা বাস থামানোর সিগন্যাল দিলে থামিয়ে তাদের নিতে হবে।
৯. শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে।