দেশের খবর: ছেলে হত্যার বিচারের দাবিতে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সাইদুর রহমান পায়েলের বাবার গোলাম মাওলা। শুক্রবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিটি গেট সংলগ্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এই ঘোষণা দেন। সড়ক অবরোধ করে সকাল ১১টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা এই কর্মসূচির কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে আন্দোলনকারীরা নিজেরাই সরে গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।
সন্দ্বীপ অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রামের আয়োজনে এই মানববন্ধনে পায়েলের বাবা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীও স্বজন হারিয়েছেন। তিনি স্বজন হারানোর বেদনা বোঝেন। আমাদের কষ্টের কথা জানাতে চাই উনাকে। আশা করি, প্রধানমন্ত্রীর দেখা পাব আমরা। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উনার দেখা না পেলে সন্তান হত্যার দ্রুত বিচার পেতে যাব আমরণ অনশনে। ছেলের সাথে কবরে যাব আমরাও।’
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই রাতে দুই বন্ধু আকিবুর রহমান আদর ও মহিউদ্দিনের সঙ্গে হানিফ পরিবহনের ভলভো বাসে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার পথে রওনা হওয়ার পর নিখোঁজ হন পায়েল। পরে মুন্সিগঞ্জের ভাটেরচর সেতুর নিচের খাল থেকে পায়েলের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর পুলিশ হানিফ পরিবহনের ওই বাসের চালকসহ তিন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশী জেরায় তারা স্বীকার করে, পায়েল বাসে উঠতে গিয়ে দরজার ধাক্কায় মারাত্মক আহত হন।
এই দুর্ঘটনার দায় এড়াতেই গুরুতর আহত পায়েলকে চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে একটি খালে ফেলে দেয় বাসের কর্মীরা! এই ভয়ানক অমানবিক ঘটনায় তোলপাড় পড়ে যায় সারাদেশে। চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর এলাকার বাসিন্দা পায়েলের মৃত্যুর পর থেকেই বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম চলে আসছে। এর মধ্যেই গত রবিবার রাজধানীতে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় সারাদেশে শুরু হয়েছে কিশোর-কিশোরীদের আন্দোলন।
আমরণ অনশনের ঘোষণা পায়েলের বাবার
পূর্ববর্তী পোস্ট