দেশের খবর: ঢাকা শহরের পরিবহনশ্রমিকদের মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ মাদকাসক্ত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ। শুক্রবার বিকেলে মহাখালী বাস টার্মিনালে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ বিষয়টিকে দুর্ঘটনার একটি কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
এনায়েত উল্লাহ বলেন, বাসমালিকেরা পরিবহনশ্রমিকদের কাছে একরকম জিম্মি। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়টি আপনারা ভালো করে তুলে ধরুন।’ তিনি আরও বলেন, অনেক মালিক পরিবহনশ্রমিকদের চুক্তিতে বাস চালাতে দেন। তখন বেশি মুনাফার জন্য বাসগুলো সড়কে রেষারেষিতে লিপ্ত হয়। চুক্তিতে বাস না দেওয়ার জন্য মালিকদের উৎসাহিত করা হয়। কিন্তু অনেক সময় মালিকেরা সেটা শোনেন না।
এনায়েতউল্লাহ বলেন, শুক্রবার পর্যন্ত ছয় দিনে চার শর মতো বাস ভাঙচুর করা হয়েছে। আটটি বাস সম্পূর্ণভাবে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো বাসে বাইরে থেকে পেট্রল এনে গাড়ির কাচের পর্দায় ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে মালিক-শ্রমিকেরা নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন। যে কারণে ঢাকাসহ সারা দেশে মালিক-শ্রমিকেরা যাঁর যাঁর গাড়ি বন্ধ রেখেছেন। শ্রমিকেরা নিরাপদ বোধ করলেই গাড়ি চলবে।
খন্দকার এনায়েতুল্লাহ দাবি করেন, ‘এটা আমাদের মালিক-শ্রমিকদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ধর্মঘট নয়। মালিক-শ্রমিকদের কোনো সংগঠনের পক্ষ থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে গাড়ি বন্ধ রাখতে বলা হয়নি। নাইট কোচ, ট্রাক তো চলছে।’ এ পরিবহন মালিক ও শ্রমিকনেতা দাবি করেন, তাঁরা ছাত্রদের দাবির সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। সরকার এর মধ্যে অনেক দাবি মেনে নিয়েছে। মোটরযান আইনকে সংশোধন করে সড়ক পরিবহন আইন অনেক পরে গিয়ে সংসদে পাস হওয়ার কথা ছিল। বর্তমান পরিস্থিতির কারণে আগামী সংসদেই এটা আইন আকারে পাস হতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। নিয়মশৃঙ্খলা আনার জন্য এটাও একটা পদক্ষেপ। সরকার যথেষ্ট আন্তরিকতার সঙ্গে বিষয়টি দেখছে। এখন শিক্ষার্থীদের উচিত ফিরে যাওয়া।
‘৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ পরিবহনশ্রমিক মাদকাসক্ত’
পূর্ববর্তী পোস্ট