দেশের খবর: বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে দালাল ও বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাঙ্গা আরোপে শৃখংলা ফিরেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বেনাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আইন বিষয়ক সম্পাদক মশিয়ার রহমান বলেন, বেনাপোল শুল্কভবনের কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের ভেতরে পাসপোর্ট যাত্রী ছাড়া অন্যদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।
“টার্মিনালের প্রধান ফটকে বন্দরের নিরাপত্তাকর্মী, আনসার সদস্য ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকায় দালালরা প্রবেশ করতে পারছে না। ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তাদের জনবল ও সেবার মান বাড়ানোয় যাত্রীরা দ্রুত সুশৃংখলভাবে সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পারছেন।”
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, পাসপোর্ট যাত্রীরা যাতে কোনো প্রকার হয়রানির শিকার না হয় সে জন্য দালালমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে।
“ঝামেলামুক্তভাবে যাত্রীরা যাতে পারাপার হতে পারে সে ব্যবস্থাই করা হয়েছে। এখন প্রত্যেক যাত্রী লাইনে দাঁড়িয়ে তাদের পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করছেন। দালাল ও বহিরাগতদের ইমিগ্রেশনের ভেতর ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।”
কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়া নিরাপদে যাত্রীরা যাতে পারাপার হতে পারেন সেজন্য প্রবেশ মুখেই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে জানান বেনাপোল শুল্কভবনের কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী।
তিনি বলেন, বর্তমানে চেকপোস্ট কাস্টমস ইমিগ্রেশনকে দালালমুক্ত করা হয়েছে। তবে এটি বাস্তবায়ন করতে যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে। এখন কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়াই যাত্রীরা ভারত গমনাগমন করতে পারছেন।
ব্যবসায়িক কাজে নিয়মিত ভারত যাতায়াত করেন এমন একজন আমদানিকারক আ ন ম ফয়সাল রহমান বলেন, যাত্রী সেবার মান অনেক বেড়েছে। প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল এলাকায় বহিরাগত কোনো দালাল যাতে ঢুকতে না পারে সে জন্য প্রতিনিয়ত মাইকিং করা হচ্ছে। দালালদের কাছে পাসপোর্ট না দেওয়ার জন্য মাইকে বারবার সতর্ক করা হচ্ছে। কোথায় কীভাবে পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা সারবেন তাও মাইকে বলা হচ্ছে।
সিসি ক্যামেরার আওতায় আসায় অবৈধ লেনদেনও বন্ধ হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে এক শ্রেণির লোক দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা যাত্রীদের নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল। এদেরকে স্থানীয়ভাবে ‘পাসপোর্ট দালাল’ বলা হয়।
বিনা চেকে দ্রুত পার করে দেওয়া, ল্যাগেজ পার করা, ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে দেওয়া প্রভৃতির নামে এসব দালালরা যাত্রীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিত।
পূর্ববর্তী পোস্ট