আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরার আশাশুনির হাজরাখালীতে খোলপেটুয়া নদীর বেঁড়িবাধটি গত তিন দিনেও সংস্কার করা সম্ভব হয়নি। ফলে এ পর্যন্ত মোট ১০ টি গ্রামের নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে সহ¯্রাধিক বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার। চারিদিকে এখন মানুষের বুকে শুধু হাহাকার। তবে, স্থানীয়রা প্রানপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বাধ সংস্কারের।
শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল জানান, আগে থেকেই বাঁধটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। গত রোববার দুপুরে জোয়ারের প্রবল তোড়ে ৬০/৭০ ফুট বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এতে মাড়িয়ালা, থানাঘাটা ও বকচর গ্রাম প্লাবিত হয়। এরপর বিকেলে স্থানীয়দের স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বেড়িবাঁধ সংস্কার করা হয়। সোমবার দুপুরের জোয়ারে তা আবারো ভেঙে গেছে। এতে হাজরাখালী, পুইজালা, মাড়িয়ালা, থানাঘাটা ও বকচর মহিষকুড়, কমলাপুর, থালনা, কোলা, নাঙ্গলদাড়িয়া, নাকতাড়া, থানা ঘাটাসহ ১০ টি গ্রামের নি¤œাঞ্চল পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে সহ¯্রাধিক বিঘা মৎস্য ঘের, ফসলি জমি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে শতাধিক পরিবার। বেড়িবাঁধটি দ্রুত সংস্কার করা না গেলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়বে।
এদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী আ.ফ.ম রুহুল হক এমপি ও সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেনসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাগন।
এ ব্যাপারে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাফফারা তাসনীন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কারের কাজ চলছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট