দেশের খবর: আগামীকাল ১ সেপ্টেম্বর শনিবার বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভা করবে দলটি। জনসভা কেন্দ্র করে ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে দেশের প্রধান এই ‘বিরোধী’ দল।
তবে কারাগারে থাকায় এবার দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে থাকতে পারছেন না দলীয় চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে অবস্থান করায় এবারও দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে থাকছেন না বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দলের শীর্ষ দুই নেতা ছাড়াই এবার ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত দলটি।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কাল দুপুর ২টায় জনসভা করবে দলটি। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়সহ দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে সকাল ৬টায় দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। কাল সকালে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন দলের নেতাকর্মীরা। দোয়া মাহফিল করা হবে সারা দেশে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী বলেন, ‘আমাদের দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী হবে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় জনসভা। দলের প্রতিটি স্তরের নেতাকর্মী এতে অংশ নেবে। সরকারের সব বাধা উপেক্ষা করে আগামীকাল বিএনপির জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে। এরই মধ্যে জনসভায় দলের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের দায়িত্বশীলদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূল দলের পক্ষ থেকেও সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’সরকারের পক্ষ থেকে বাধার আশঙ্কা করছেন কি না জানতে চাইলে আতাউর রহমান ঢালী বলেন, ‘জনসভার অনুমতি দিলেও আমাদের অনেক শর্তে আটকে রেখেছে, এটাও তো একটা বাধা। আমাদের বলছে, স্টেজ করা যাবে না, বেশি মাইক ব্যবহার করা যাবে না। এটা কি বাধা না? তারপরও আমরা আশা করি সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। যেহেতু আগামী কালের জনসভা হচ্ছে আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে, তাই তারা জনসভা সফল করতে সহযোগিতা করবে।’
আগামীকালের জনসভার বিষয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘শনিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ, সুন্দর ও ভালো জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য আমরা সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। আমরা প্রত্যাশা করছি, জনসভায় ব্যাপক জনসমাগম ঘটবে। এ জন্য দলের সব অঙ্গ সংগঠনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
জনসভার সফলতার বিষয়েও কথা বলেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘যেহেতু এটি একটি দিবস, তাই জনসভার আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে হয়রানি করবে সেটি কামনা করি না। যদি করে এটা দেশের জনগণ ভালোভাবে নেবে না।’
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন বলেন, ‘আগামীকাল ঢাকা শহর বিএনপি নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখর থাকবে। ঢাকা শহরে জনস্রোত হবে। অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে আগামীকালের জনসভায় ব্যাপক লোকসমাগম হবে। ফকিরাপুল থেকে শুরু করে, কাকরাইল নাইটিংগেল মোড়, রাজমণি ঈশা খাঁ হোটেল ও আশপাশের এলাকা লোকে লোকারণ্য হবে। মোটকথা, কালকের জনসভায় স্মরণকালের সেরা জনসমাগম হবে।’ঢাকার আশপাশের জেলা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা আসবেন কি না জানতে চাইলে মিলন বলেন, ‘সব সময় রাজধানীতে বড় কোনো জনসভা হলে ঢাকার আশপাশের জেলাগুলো থেকে নেতাকর্মীরা অংশ নেন। আর কাল যেহেতু আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর জনসভা, তাই অন্যবারের চেয়ে আরো বেশি নেতাকর্মী নয়াপল্টনের জনসভায় যোগ দেবেন।’
বিশাল শোডাউনের প্রস্তুতি বিএনপির
পূর্ববর্তী পোস্ট