অনলাইন ডেস্ক: ব্ল্যাকহেড। এটি নাকের পাশের অংশে বেশি হয়ে থাকে এবং জায়গাটিকে বেশ কালচে করে ফেলে। সবাই এর সাথে কমবেশি পরিচিত হলেও ব্ল্যাক হেডস-এর সমস্যা নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন।
মূলত বিভিন্ন ধরনের ময়লা, তেল আর মেদ থেকে ক্ষরিত রসের সমন্বয়ে এক ধরনের কালো দাগ গড়ে তোলে নাকের পাশে, ঠোঁটের নিচে, থুতনিতে এবং কপালে। শরীরে হরমোনের পরিবর্তনের জন্য অনেকেরই মুখে ও নাকে ব্ল্যাক হেডস ওঠে।
বেশির ভাগ মানুষই সবচেয়ে বেশি সচেতন নিজের মুখ নিয়ে। মুখের সৌন্দর্য ধরে রাখতে নিয়মিত মুখের ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। মুখের সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা হল এ ব্ল্যাক হেডস। তাই এ ব্ল্যাকহেডস নিয়ে অনেকেরই দুশ্চিন্তার অন্ত নেই!
সমস্যাটি সমধানে পার্লারে ফেসিয়াল, ঘরে নানা রকম দামী পণ্য ব্যবহার স্ক্র্যাবিং, ক্লিনিং ইত্যাদি কত কী করি আমরা! প্রতিদিনের মুখ ধোয়া সত্ত্বেও এগুলো মুখে উঠে থাকে। সমস্যা কিন্তু থেকেই যায়।
প্রতিদিন ভালো করে মুখ ধোয়ার চেষ্টা করুন। তবে ত্বক বেশি ঘষাঘষির প্রয়োজন নেই। ফেসওয়াশ দিয়ে হালকা ঘষে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। দিনে অন্তত দু-তিনবার ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। আর সপ্তাহে অন্তত তিনবার স্ক্রাব দিয়ে ম্যাসাজ করুন।
তবে ব্ল্যাকহেডস-এর এই সমস্যা পুরোপুরি দূর করতে আজ জেনে নিন ৩টি দুর্দান্ত কৌশল।
হলুদের ব্যবহার:
রূপচর্চায় হলুদের ব্যবহার অতি প্রাচীন। রূপচর্চায় যুগ যুগ ধরে হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে। ঘরোয়া চিকিৎসাতেও হলুদের জুড়ি মেলা ভার। অসাধারণ ঔষধিগুণ সম্পন্ন এই হলুদ ব্ল্যাকহেডস দূর করতেও কার্যকর।
ব্ল্যাকহেডস-এর সমস্যা মেটাতে হলুদের দুটি ব্যবহার।
১. পুদিনা পাতার রস করে নিন। এর মধ্যে গুঁড়ো হলুদ বা বাটা হলুদ দিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এ বার এই মিশ্রণ ব্ল্যাকহেডস আক্রান্ত জায়গাগুলোতে মাখিয়ে দিন। শুকিয়ে গেলে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
২. হলুদ, চন্দনের গুঁড়ো এবং কাঁচা দুধ দিয়ে ঘন করে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এই মিশ্রণ ব্ল্যাকহেডস আক্রান্ত স্থানে মাখিয়ে অন্তত ১০ মিনিট রাখুন। এ বার জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
এই দু’রকম মিশ্রণ সপ্তাহে অন্তত দু-তিন বার ব্যবহার করতে পারলে ব্ল্যাকহেডস-এর সমস্যা মিটে যাবে।
মধুর ব্যবহার:
মধু একটি উচ্চ ঔষধিগুণ সম্পন্ন একটি ভেষজ তরল। ভেষজ পদ্ধতিতে রূপচর্চায় মধু অপরিহার্য। চলুন, জেনে নেওয়া যাক মধু দিয়ে কী ভাবে ব্ল্যাকহেডস দূর করবেন।
মুখে ব্ল্যাকহেডস আক্রান্ত অংশে ভাল করে মধু মাখিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এই মধু ত্বককে কোমল রাখে আর লোমকূপকে রাখে সংকুচিত। ফলে ব্ল্যাকহেডস নিয়াময় হয়, নতুন ব্ল্যাকহেডস হয় না।