বিনোদনের খবর: জার্মান-সুইস ব্যান্ড ‘রাগাবুন্ড’ এর কনসার্ট মাতালো বাংলাদেশের দর্শকদের। জার্মান ভাষায় গাইলেন শিল্পীরা। জার্মান ভাষা বাংলাদেশের দর্শকরা খুব একটা না বুঝলেও সেই ভাষা খুব একটা বাধা হয়ে দাঁড়াল না। সঙ্গীতের সুর সেই বাধা দূর করে মাতিয়ে তুললো বাংলাদেশের দর্শক শ্রোতাদের।
পার্টনার্স স্কুল প্রোগ্রাম-পাস বাংলাদেশে তাদের ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশের গ্যেটে ইনস্টিটিউট, স্থানীয় জার্মান স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে গতকাল সোমবার কনসার্ট আয়োজন করে। গ্যেটে ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডক্টর কিরস্টেন হাকেনব্রোক এবং জার্মান দূতাবাসের ডেপুটি হেড অফ মিশন মিশেল শুলথাইস অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে উদ্বোধন করেন।
জার্মান-সুইস ব্যান্ড ‘রাগাবুন্ড’ এর সদস্যরা হলেন কুর্ট আন্দ্রেয়াস গুস্তাভো লেসকে, লুকা বুচিসিও, মিসেল বুচিসিও, নীল ফ্রান্জ লেসকে। শিল্পীরা মূলত রেগে ধারার সঙ্গীত উপস্থাপন করেন। রেগে ধারার সঙ্গীত সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন জ্যামাইকার শিল্পী বব মার্লে। সেই সুরে আনন্দ বেদনা ও প্রতিবাদের ভাষা মানুষকে আলোড়িত করে চলেছে যুগ যুগ ধরে। জার্মান, সুইস ও ল্যাটিন ভাষায় সঙ্গীত পরিবেশন করে। দলটি একে একে গেয়ে শোনায় গাঞ্জাথেরাপি, বেবিগার্ল, উ ডেন, নূর লিবে, আইএম রেডিও, চিলিং, বিউটিফুল ডে, নাজিমান, সরি মামা, কিউরো বাইলার, বেলিইভ নিচট স্থেন, ফাস্কো ফাঙ্কসহ নিজেদের জনপ্রিয় সব গান।
বাংলাদেশে, ‘পাস’ নেটওয়ার্কের পাঁচটি অংশীদার বিদ্যালয় রয়েছে। সেগুলো হলো অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ড স্কুল, সাউথ পয়েন্ট স্কুল এবং কলেজ, ম্যাপেল লিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং চট্টগ্রাম মাস্টারমাইন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। ‘স্কুল: পার্টনার্স ফর দ্য ফিউচার-পাস-উদ্যোগটি ফেব্রুয়ারি ২০০৪ সালে জার্মানির ফেডারেল ফরেন অফিসের মাধ্যমে চালু করা হয়েছিল। গ্যেটে ইনস্টিটিউট পৃথিবীর ১০০ টিরও বেশি দেশের জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে সম্পৃক্ত প্রায় ৬০০টি ‘পাস’ স্কুলে সহায়তা করে আসছে। উদ্যোগটি একদিকে ‘পাস’ কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোতে জার্মানির আধুনিক রাষ্ট্র এবং সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানার সুযোগ করে দিয়েছে। পাশাপাশি জার্মান ভাষা শিখতে কিশোর-কিশোরীদের আগ্রহ বাড়াতে কাজ করছে।
শিল্পকলায় উদীচীর ‘বৌ-বসন্তি’
গতকাল সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হয়েছে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কেন্দ্রীয় নাটক বিভাগের প্রযোজনা ‘বৌ-বসন্তি’। অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী রচিত এবং নাট্যজন আজাদ আবুল কালাম নির্দেশিত নাটকটির সময়কাল ১৯৭১ সাল, যে সময়টায় পূর্ব পাকিস্তানে নাটকের আরম্ভ আর বাংলাদেশে এসে সমাপ্তি। যখন পূর্ব পাকিস্তান ছিল তখনও স্বাধিকার প্রমত্ত বাঙালি ছিল। আর যখন বাংলাদেশ তখনও বাঙালির মধ্যে লুকিয়ে আছে কতিপয় স্বাধীনতা বিরোধী। এই রাজনৈতিক বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে কোনো এক গ্রামীণ জনপদের জীবন বৈচিত্র্য প্রকাশ পেয়েছে ‘বৌ-বসন্তি’ নাটকে।