খুশকি দূর করতে কত কিছুই তো ব্যবহার করেছেন। এবার আদার রস ব্যবহার করে দেখুন। এতে জিঞ্জারোল উপাদান রয়েছে, যা শক্তিশালী অ্যন্টিঅক্সিডেন্টস হিসেবে কাজ করে। আর এর অ্যামিনো এসিড ও ফ্যাটি এসিড মাথার ত্বকে পুষ্টি জোগায়, ত্বকে শুষ্ক হতে দেয় না এবং চুল পড়া রোধ করে। এ ছাড়া এর মাইক্রোবিয়াল উপাদান মাথার ত্বকের চুলকানি দূর করে ও খুশকির জীবাণু ধ্বংস করে। অন্যদিকে আদার ভিটামিন ও মিনারেল চুল নরম ও মসৃণ করতে সাহায্য করে।
খুশকি দূর করতে আদার রস কীভাবে চুলে ব্যবহার করবেন সে সম্বন্ধে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটের জীবনধারা বিভাগে। এক নজরে ধাপগুলো দেখে নিন।
প্রথম ধাপ
বড় এক টুকরা আদা ভালো করে খোসা ছাড়িয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। একটি পাতলা সুতির কাপড়ে এই মিশ্রণ নিয়ে চেপে ভালো করে এর রস বের করে নিন। অন্তত দুই টেবিল চামচ রস যেন হয় এই পরিমাণ আদা নিন।
দ্বিতীয় ধাপ
আধা কাপ নারকেল তেল ৩০ সেকেন্ডের জন্য গরম করে নিন। এবার তেল অল্প ঠান্ডা করে নিন। নারকেল তেলে লিউরিক এসিড রয়েছে যা মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এবার নারকেল তেলের সঙ্গে আদার রস মিশিয়ে নিন।
তৃতীয় ধাপ
এই মিশ্রণের মধ্যে পাঁচ ফোটা রোজমেরি অয়েল দিন। এই তেলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস মাথার ত্বকের গভীরে গিয়ে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে।
চতুর্থ ধাপ
এবার এর মধ্যে এক চা চামচ লেবুর রস দিয়ে সব উপাদান কাটা চামচ দিয়ে মিশিয়ে নিন। লেবুর রসের সাইট্রিক এসিড মাথার ত্বক পরিষ্কার করে এবং চুলের তেলতেলে ভাব দূর করে।
পঞ্চম ধাপ
একটি মোটা চিড়ুনি দিয়ে চুল ভালো করে আঁচড়ে জট ছাড়িয়ে নিন। কয়েক ফোটা এসেনশিয়াল অয়েল হাতে নিয়ে চুলে লাগান। এতে জট সহজে ছাড়াতে পারবেন।
ষষ্ঠ ধাপ
চুল ছোট ছোট ভাগ করে মাথার তালুতে এই মিশ্রণ লাগান। এবার ১০ থেকে ১৫ মিনিট আঙুল দিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। হাত দিয়ে চিপে চুল থেকে বাড়তি প্যাক ঝরিয়ে ফেলুন। এবার একটি শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে নিন।
সপ্তম ধাপ
সারারাত এভাবে রেখে দিন। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে বেশি করে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। সুতির কাপড় কিংবা পাতলা তোয়ালে দিয়ে চুল মুছে নিন। এবার চুল বাতাসে শুকিয়ে ফেলুন।