দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেড়েই চলেছে যুদ্ধবিগ্রহ ও সহিংসতা। যুদ্ধের বাজারে নিজেদের ভার বজিয়ে রাখতে পাল্লা দিয়ে সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। প্রতিরক্ষা খাতে খরচে কোন কোন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে আইএইচএস জেন প্রকাশ করেছে বার্ষিক প্রতিরক্ষা বাজেটের এক প্রতিবেদন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী এ বছর সারা বিশ্বে প্রতিরক্ষা খরচ বেড়েছে। ২০১৬ সালে প্রতিরক্ষা কাজে খরচ হয়েছে ১ দশমিক ৫৭ ট্রিলিয়ন ডলার। ২০১৫ সালে এই খরচের পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৫৫ ট্রিলিয়ন ডলার। একনজরে দেখে নেওয়া যাক মহাদেশ অনুযায়ী বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষা খরচের পরিমাণ।
এশিয়া
এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে প্রতিরক্ষা খরচে এগিয়ে রয়েছে চীন। ২০১০ সালে চীনের প্রতিরক্ষা খরচ ছিল ১২৩ বিলিয়ন ডলার, যা যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা খরচের চারগুণ। এমনকি পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর মোট প্রতিরক্ষা খরচের থেকেও বেশি। বিশ্লেষকদের ধারণা, ২০২০ সাল নাগাদ তা বেড়ে দাঁড়াবে ২৩৩ বিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া প্রতিরক্ষা ব্যয় সৌদি আরব ও রাশিয়াকে পেছনে ফেলেছে নরেন্দ্র মোদির ভারত। জরিপ অনুযায়ী ২০১৮ সাল নাগাদ ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যয় যুক্তরাজ্যকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ইউরোপ
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর সম্মিলিত প্রতিরক্ষা ব্যয় এ বছর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৯ বিলিয়ন ডলারে। তবে ব্রেক্সিট ও বিভিন্ন চলমান আর্থিক সীমাবদ্ধতার কথা আলোচনায় আনলে এই সামরিক ব্যয় ভবিষ্যতে কতটুকু বাড়বে তা নিতে শঙ্কিত বিশ্লেষকরা। এদিকে সামরিক ব্যয় কমিয়ে এনেছে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি রাশিয়া। এ বছর রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যয় ৪৮ বিলিয়ন ডলার। ১৯৯০ সালের পর থেকেই প্রতিরক্ষা খাতে এত কম বাজেট আনল রাশিয়া।
আমেরিকা
বরাবরের মতো সারা বিশ্বের মধ্যে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয়ে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বছর তাদের মোট ব্যয়ের পরিমাণ ছিল ৬২২ বিলিয়ন ডলার, যা কিনা পুরো বিশ্বের মোট প্রতিরক্ষা ব্যয়ের ৪০ শতাংশ। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন চেয়েছিল এই খরচ ১ দশমিক ১ শতাংশ কমিয়ে আনতে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর এই খরচ আরো বাড়বে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।