বিনোদনের খবর: আজ শোবিজের জনপ্রিয় চার তারকার জন্মদিন । তারা হলেন অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন, চিত্রনায়িকা কেয়া, অভিনেত্রী সোহানা সাবা এবং লাক্স তারকা মৌসুমী হামিদ।
প্রয়াত নন্দিত নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের ‘আজ রবিবার’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে শোবিজে নিয়মিত পথচলা শুরু করেন মেহের আফরোজ শাওন। তারপর তিনি হুমায়ূন আহমেদের নির্দেশনায় একেএকে অনেক প্যাকেজ এবং ধারাবাহিক নাটোকে অভিনয় করেছেন তিনি।। এছাড়া শাওন অভিনয় করেছেন বেশ ক’টি চলচ্চিত্রে। চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘দুই দুয়ারী’, ‘চন্দ্রকথা’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘আমার আছে জল’।
অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর শাওন আসেন নির্মাণে। ‘নয়া রিক্সা’, ‘স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গ’, ‘এভারেস্ট জয়’, ‘অসময়ে’, ‘বিভ্রম’, ‘আজ জরির বিয়ে’ ইত্যাদি। এছাড়া চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে শাওনের পরিচালনায় ‘কৃষ্ণপক্ষ’ ছবিটি মুক্তি পায়। আগামীতে তিনি নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ‘নক্ষত্রের রাত’ নামে আরো একটি ছবি। পর্দার অন্তরালে মেহের আফরোজ শাওন প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী। এছাড়া তিনি দুই সন্তানের জননী।
মাত্র ১৪ বছর বয়সে নজরকাড়া গ্ল্যামার নিয়ে ঢাকাই চলচ্চিত্রে এসেছিলেন চিত্রনায়িকা কেয়া। মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘কঠিন বাস্তব’ ছবি দিয়ে শুরুতেই দারুণ প্রশংসিত হন। ওই ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন রিয়াজ ও আমিন খান। এরপর প্রায় এক ডজন চলচ্চিত্রে অভিনয় করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন চিত্রনায়িকা হিসেবে।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘রংবাজ বাদশা’, ‘ভালোবাসার শত্রু’, ‘দিওয়ানা মাস্তান’, ‘সাহসী মানুষ চাই’, ‘নষ্ট’, ‘মহব্বত জিন্দাবাদ’, ‘ব্ল্যাকমানি’সহ আরো বেশকিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করে ঢাকাই চলচ্চিত্রের প্রতিষ্ঠিত নায়িকায় পরিণত হন কেয়া। আগামীতে মুভিপ্লানেট মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে আরো একটি নতুন ছবিতে দেখা যাবে কেয়াকে।
ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোহানা সাবা। টিভি পর্দার গণ্ডি পেরিয়ে তিনি দ্যুতি ছড়িয়েছেন রুপালি পরিসরেও। ‘চন্দ্রগ্রহণ’, ‘আয়না’, ‘প্রিয়তমেষু’, ‘বৃহন্নলা’ এবং সর্বশেষ কলকাতায় সাবা অভিনীত ‘ষড়রিপু’ ছবিটি মুক্তি পায়। এই ছবিটি তার ক্যারিয়ারে ভিন্নমাত্রা যোগ করে। বড়পর্দার পাশাপাশি ছোটপর্দাও সরব সোহানা সাবা। বর্তমানে তার অভিনীত প্রচার চলতি ধারাবাহিক নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘সাতটি তারার তিমির’, ‘রেডিও জকি ও কতিপয় গল্প’, ‘টাইম’, এবং ‘খেলাঘর’।
লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার রানার্সআপ হিসেবে ২০১০ সালে শোবিজে পথচলা শুরু করেন মৌসুমী হামিদ। তারপর থেকে মেধা আর যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে চলেছেন তিনি। প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী হিসেবে। সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলায় আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন মৌসুমী। স্থানীয় স্কুল, কলেজে এইচএসসি শেষ করে খুলনার আজম খান কমার্স কলেজ ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজে স্নাতক করেছেন।
মৌসুমী প্রথম অভিনয় করেন খালিদ মাহমুদ মিঠুর ‘বাংলা আমার মাতৃভাষা’ নামের খন্ড নাটকে। তবে তার প্রথম প্রচারিত নাটক মোস্তফা কামাল রাজের ‘বিয়োগ ফল’। ২০১২ সালটাকেই বলা চলে তার সর্বোচ্চ সফলতার বছর। কারণ, এই বছরে এসে বেশ কয়েকটি চ্যানেলের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তিনি। আবার কলকাতামুখীও হয়েছিলেন তিনি। দুই বাংলার ধারাবাহিক নাটক ‘রোশনী’র নাম ভূমিকায় অভিনয় করে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন।
এরপর কাজ করেছেন ‘নূরজাহান’, ‘অচেনা প্রতিবিম্ব’, ‘জলছবি’ এবং ‘ডেড এন্ড’র মতো জনপ্রিয় সব ধারবাহিকে। ছোটপর্দায় নিয়মিত কাজের পাশাপাশি বাজিমাত করেছেন চলচ্চিত্রের রুপালি আঙিনাও। তার অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ব্ল্যাকমানি’, ‘পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী-২’ ‘ব্ল্যাকমেইল’ ‘জালালের গল্প’ ইত্যাদি। এরমধ্যে মৌসুমীর ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি সাফল্য বয়ে আনে ‘জালালের গল্প’ ছবিটি। দেশ ছাড়িয়ে বিভিন্ন দেশ থেকেও ছবিটি বহু সম্মাননা বয়ে আনে।