অনলাইন ডেস্ক: সময় টিভির এক আলোচনা অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধানকে নিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মন্তব্যকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন, অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেছে সেনাসদর। বিএনপি সমর্থক পেশাজীবী ফোরামের নেতা জাফরুল্লাহ নিজেও বলেছেন, তার বক্তব্যে ‘ভুল ছিল’।
২১ অগাস্ট গ্রেনেড মামলার রায়ের পর সেদিন রাতে সময় টিভির আলোচনা অনুষ্ঠান সম্পাদকীয়তে আলোচক হিসেবে উপস্থিত জাফরুল্লাহ চৌধুরী দাবি করেন, সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ যখন ‘চট্টগ্রামের জিওসি’ ছিলেন, সেখান থেকে ‘সমরাস্ত্র ও গোলাবারুদ চুরি’ যাওয়ার ঘটনায় তার ‘কোর্ট মার্শাল’ হয়েছিল। এরপর বিষয়টি নিয়ে সেনা সদরের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদলিপি পাঠানো হয়। সময় টিভি নিজেদের বক্তব্যসহ সেটি প্রচার করে।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, “বর্তমান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ চাকরি জীবনে কখনোই চট্টগ্রামের জিওসি বা কমান্ড্যান্ট হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন না। তিনি সেপ্টেম্বর ২০১০ হতে জুন ২০১১ পর্যন্ত কুমিল্লায় ৩৩ আর্টিলারি ব্রিগেডের কমান্ডার ছিলেন, জুন ২০১১ হতে মে ২০১২ পর্যন্ত ঢাকার মিরপুরে ৬ স্বতন্ত্র এডিএ ব্রিগেডের ব্রিগেড কমান্ডার এবং মে ২০১২ হতে ডিসেম্বর ২০১২ পর্যন্ত কুমিল্লায় ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
“বর্ণিত সময়ে চট্টগ্রাম বা কুমিল্লা সেনানিবাসে কোনো সমরাস্ত্র বা গোলাবারুদ চুরি বা হারানোর কোনো ঘটনা ঘটেনি। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, বর্তমান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ তার দীর্ঘ বর্ণাঢ্য সামরিক চাকরি জীবনে কখনোই কোর্ট মার্শালের সম্মুখীন হননি।”
সেনাসদরের প্রতিবাদ লিপিতে জাফরুল্লাহর বক্তব্যকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ হিসেবে বর্ণনা করে বলা হয়, ওই বক্তব্য “সেনাবাহিনী প্রধানসহ সেনাবাহিনীর মত রাষ্ট্রীয় একটি প্রতিষ্ঠানকে জনসম্মুখে হেয় করার হীন অপচেষ্টা মর্মে স্পষ্টতঃ প্রতীয়মান হয়।”
এ বিষয়ে শুক্রবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, “আমি বলেছিলাম, কোর্ট মার্শাল… আমার একটু ভুল ছিলI কোর্ট অব ইনকোয়ারি হয়েছিল।”
সেনাসদরের প্রতিবাদের পর সময় টেলিভিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের ওই আলোচনা অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হয় বলে কোনো আলোচক ভুল কিছু বললেও তা এড়ানোর সুযোগ থাকে না। টেলিভিশনের আলোচনায় যারা অংশ নেন, বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের আরও দায়িত্বশীল আচরণ করার অনুরোধ জানানো হয় সময় টিভির পক্ষ থেকে।