বিনোদনের খবর: বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর প্রতি সর্বসাধারণের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়েছে। সেখানে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সর্বস্তরের মানুষ শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন।
শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়।
সর্বস্তরের মানুষের শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দুপুর ১টার দিকে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ নিয়েও যাওয়া হবে হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ মাঠে। সেখানে বাদ জুমা তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
পরে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে মগবাজারে তার নিজের স্টুডিও এবি কিচেনে। আইয়ুব বাচ্চুর দ্বিতীয় জানাজা হবে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে। দ্বিতীয় জানাজা শেষে শিল্পীর মরদেহ হিমঘরে রাখা হবে।
অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা থেকে আইয়ুব বাচ্চুর মেয়ে ফাইরুজ সাফরা আইয়ুব ও ছেলে আহনাফ তাজোয়ার আইয়ুব দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। তারা এলে চট্টগ্রামে শনিবার মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন আইয়ুব বাচ্চু।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু এসব তথ্য জানান।
বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) মাত্র ৫৬ বছর বয়সে আইয়ুব বাচ্চু শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। জনপ্রিয় এই শিল্পীর মৃত্যুতে সারা দেশে শোকের ছায়া নেমে আসে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যান্ড এলআরবির দলনেতা আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন একাধারে গায়ক, গিটারবাদক, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক।
আইয়ুব বাচ্চু ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রাম শহরের এনায়েতবাজারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মোহাম্মদ ইসহাক ও মা নূরজাহান বেগম। ১৯৭৮ সালে ফিলিংস ব্যান্ডের মাধ্যমে বাচ্চুর পথচলা শুরু। ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ছিলেন সোলস ব্যান্ডের লিড গিটারিস্ট।
আইয়ুব বাচ্চুর অ্যালবাম এলআরবি বাজারে আসে ১৯৯২ সালে। এলআরবিই দেশের প্রথম ডাবল ও আনপ্লাগড অ্যালবাম প্রকাশ করে। সুখ, তবুও, ঘুমন্ত শহরে, ফেরারি মন, আমাদের বিস্ময়, মন চাইলে মন পাবে, অচেনা জীবন, মনে আছে নাকি নাই, স্পর্শ, যুদ্ধ এলআরবির জনপ্রিয় অ্যালবাম।
একক অ্যালবামেও ঈর্ষণীয় সাফল্য পেয়েছেন ক্ষণজন্মা এই শিল্পী। তার একক অ্যালবামের মধ্যে কষ্ট, সময়, একা, প্রেম তুমি কি, দুটি মন, কাফেলা, জীবনের গল্প উল্লেখযোগ্য। কিছু চলচ্চিত্রেও প্লেব্যাক করেছেন আইয়ুব বাচ্চু।