প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সংখ্যালঘুর দোহাই দিয়ে ভোগদখলীয় রেডর্কীয় সম্পত্তি দখল চেষ্টার প্রতিবাদে এক বৃদ্ধার সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে এগারআনী গ্রামের মৃত দবির উদ্দীনের ছেলে বৃদ্ধা আলাউদ্দীন সরদার।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আখড়াখোলা এলাকার গুরু চয়ন সাধুর ছেলে কার্ত্তিক চন্দ্র, সাধন চন্দ্র সাধু, হারান সাধুর ছেলে তুলসী সাধু, মধু সাধু, পঞ্চানন সাধুর ছেলে শিবপদ সাধু গং বিগত ১৯৮১ আখড়াখোলা মৌজায় এস এ ২৯০নং খতিয়ানের ১৪৭ দাগে মৃত রাজেন্দ্র নাথ সাধুর ছেলে দুলাল চন্দ্র সাধু’র নিকট থেকে ৩০ শতক জমির মধ্য থেকে ২০ শতক জমি কোবলা মূলে খরিদ করে। যার দলিল নং- ৭৬২৪/৮১ ও ৭৬২৮/৮১। উক্ত ২০শতক সম্পত্তি ক্রয়করে উল্লেখিত ব্যক্তিরা ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখলে থাকে। বাকী ১০ শতকসহ ৩ শতকের মত খাস জমি কোবলাদাতা দুলাল চন্দ্র সাধু বসবাসের ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে ব্যবসা বাণিজ্য করতে থাকে। এরই মধ্যে কোবলা দাতা দুলাল চন্দ্রের টাকার বিশেষ প্রয়োজন হলে ১৯৮৪ সালে তার কাছ থেকে জমিসহ ঘরবাড়ি দখলে থাকা অবস্থায় কোবলা মূলে আমি খরিদ করি। যাহার দলিল নং ২৬৬৯/৯৪। ১৯৯০ সালের মাঠ জরিপে বিবাদীদের কোবলাকৃত ২০শতক যথারীতি তাদের নামে রেকর্ড হয় এবং আমার দখলে থাকা ১০ শতকের মধ্যে ৯ শতক ও পজেশন ক্রয় করার কারনে ১৯৯০ সালে মাঠ জরিপে ওই ১০ শতকের মধ্যে বাকী ১শতক সহ মোট ৪ শতক খাস জমি আদালত প্লট করে আমার নামে মাঠ রেকর্ড, ১ম ও ম্যাপ তৈরি করে দেন। এরপর ১৯৮৪ সাল থেকে উভয়পক্ষ শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখলে থাকাকলে উক্ত ব্যক্তিরা ওই তিনশতক খাস জমি তাদের পৈত্রিক বলে দাবি করতে থাকে এবং কোবলা দলিল অস্বীকার করে গত ইং ১২/৬/১৮ তারিখে সাতক্ষীরা সদর সহকারী জজ আদালতে দেং ৭৭/১৮ নং নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য মামলা করে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে উভয়পক্ষ কে দালিলিক প্রমানসহ আদালতে হাজির জন্য লিখিত আদেশ দেন। সে মোতাবেক আমি যথারিতি বর্তমান রেকর্ড, ম্যাপ, দাখিল করি। আর উক্ত ব্যক্তিরা তাদের পৈত্রিক বলে দাবী করে কোবলা অস্বীকার পূর্বক আদালতে সুট ফর ইনজেংকশনের আবেদন জানালে আদালত, শুনানীঅন্তে আবেদন নামঞ্জুর করে দেন। এঘটনায় উল্লেখিত ব্যক্তিরা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যেয়ে হুমকি প্রদর্শন করে বলে ওইসব আদালত বুঝিনা জমি ছাড়তে হবে। তা না হলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কে উচ্ছেদ এবং নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগে জেল হাজত খাটিয়ে নিঃশ্ব করবো। তখন আমি উপায়ন্তর হয়ে আমার সম্পত্তি রক্ষার্থে গত ইং- ১৮/১০/১৮ তারিখে সাতক্ষীরা অতি:জেলা ম্যজি: আদালতে পি ৫৯৮/১৮ নং মামলা দায়ের করি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। তাছাড়া বাদী তার দখলে থাকা জমিতে যাতে শান্তিপূর্ণভাবে দোকান নির্মাণ করতে পারে সে কারণে আদালতে দরখাস্তসহ নথি উপস্থাপনের আবেদন করলে আগামী ২৫/১০/২০১৮ তারিখে শুনানীর দিন ধার্য্য করেন আদালত। এরই মধ্যে কুচক্রী মহল বিষয়টি বুঝতে পেরে আইন ও আদালতকে অমান্য করে বিবাদীদের নিকট থেকে মোটা অংকের আর্থিক সুবিধা নিয়ে সংখ্যালঘুর দোহাই দিয়ে কয়েকদিন যাবত সন্ত্রাসী বাহিনী আমার দোকানঘর জবর দখলের পায়তারা চালাচ্ছে এবং আমাকে হুমকি দিয়ে বলছে আমাকে ৫০ হাজার টাকা দিবি নইলে সংখ্যালঘু দিয়া সম্পত্তি দখল নেবো। এদিকে স্থানীয় সুধীমহল ওই সুবিধাবাদীর উদ্দেশ্যে বুঝতে পেরে বিষয়টির মিমাংসার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব দেন। এ বিষয়ে গত ২৩/১০/১৮ তারিখ সকালে উভয় পক্ষের সাথে চেয়ারম্যানের বসাবসির দিন ধার্য্য ছিলো। কিন্তু এর আগেই সাংবাদিকনামধারী ওই দিনই ইউপি চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবমূল্যায়ন করে আবারো সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এবং সংখ্যালুঘদের সহযোগিতায় আমার দোকানঘর দখলের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। এরপর তার পরামর্শ নিয়ে সদর থানায় আমাদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা সাজানো অভিযোগ দায়ের করেন। ওই সাংবাদিকনামধারী ব্যক্তি সংখ্যালঘুদের সামনে রেখে ওই আমার রেকর্ডীয় সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের পায়তারা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সাতক্ষীরায় সংখ্যালঘুর দোহাই দিয়ে রেডর্কীয় সম্পত্তি দখল চেষ্টার অভিযোগে বৃদ্ধার সংবাদ সম্মেলন
পূর্ববর্তী পোস্ট