খেলার খবর: প্রথম ওয়ানডেতে ব্যর্থতার পর আবারও ঝড় উঠেছে লিটন দাসের ব্যাটে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের দেওয়া ২৪৭ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে দলকে দুর্দান্ত শুরু এনে দিয়েছেন লিটন দাস এবং ইমরুল কায়েস। মারকুটে মেজাজে খেলা লিটনের বিপরীতে ইমরুল কিছুটা ধীরস্থির শুরু করলেও পরে হাত খোলেন। প্রথম ওভারে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যাওয়া লিটন ৪৬ বলে ৮ চার ১ ছক্কায় তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। অন্যদিকে ইমরুল কায়েসও তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৫.৪ ওভারে ১০০ রান।
এর আগে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৪৬ রান তুলে সফরকারী জিম্বাবুয়ে। দলীয় ১৮ রানে সাইফউদ্দিনের স্লোয়ার অধিনায়ক মাসাকাদজার (১৪) ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসে। অধিনায়কের দ্রুত বিদায়ের পর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন অভিজ্ঞ ব্রেন্ডন টেইলর এবং সিফাস জুওয়াও। দুজনে মিলে গড়েন ৫২ রানের জুটি। ঘূর্ণিবলে জুওয়াওকে (২০) ফজলে মাহমুদের তালুবন্দি করে জুটি ভাঙেন মিরাজ।
কিন্তু অভিজ্ঞ ব্রেন্ডন টেইলরকে থামানো যাচ্ছিল না। তৃতীয় উইকেটেও তিনি উইলিয়ামসকে সঙ্গে নিয়ে ৭৭ রানের জুটি গড়েন। অবশেষে মাহমুদ উল্লাহর বলে এলবিডাব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে থামে তার ৭৩ বলে ৯ চার ১ ছক্কায় ৭৫ রানের চমৎকার ইনিংস। সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন শন উইলিয়ামস (৪৭)।
তবে হাত চালিয়ে খেলতে থাকেন সিকান্দার রাজা। চতুর্থ এবং পঞ্চম উইকেটে উইলিয়ামস আর মুরকে নিয়ে গড়া তার দুটি জুটিই ছিল ৪১ রানের। রাজাকে ৪৯ রানে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি করেন অধিনায়ক মাশরাফি। মুস্তাফিজ তার প্রথম শিকার ধরেন পিটার মুরকে (১৭) মেহেদি মিরাজের তালুবন্দি করে।
এরপর আবারও সাইফউদ্দিন ঝলক। তার একটি শর্ট বলে এলটন চিগাম্বুরা (৩) পয়েন্টে ধরা পড়েন নাজমুল ইসলামের হাতে। শেষ ওভারের তৃতীয় বলে সহজ রান-আউট থেকে বেঁচে যান মাভুতা (৬)। পরের বলেই তাকে মুস্তাফিজের তালুবন্দি করেন সাইফউদ্দিন। কিন্তু রিভিউয়ে সেটা নট-আউট বলে প্রমাণিত হয়।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৪৬ রান তুলে সফরকারীরা। সাইফউদ্দিনের ৩ উইকেটের পাশাপাশি ১টি করে উইকেট নেন মাশরাফি, মুস্তাফিজ, মিরাজ এবং মাহমুদ উল্লাহ।