খেলার খবর: জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করার ম্যাচে ২৮৭ রানের টার্গেট ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই সাজঘরে লিটন দাস। আগের ম্যাচেও দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দিয়েছিলেন। তবে রিভিউ নিয়ে লাইফ পান তিনি। তবে এদিন আর সেই ভাগ্য কাজে আসেনি লিটনের।
আগের ম্যাচে ৮৩ রান করা বাংলাদেশ দলের এ ওপেনার শুক্রবার তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ফেরেন শূন্য রানে। কাইল জার্ভিসের বলে গোল্ডেন ডাক পান লিটন।
জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশে প্রয়োজন ২৮৭
টানা তৃতীয় ও সব মিলিয়ে চতুর্থবার জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশের সামনে বাংলাদেশ। টাইগার দলপতি মাশরাফি জানিয়েছেন, একাদশ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা যাই হোক জয় দিয়ে সিরিজ শেষ করতে চান তারা।
সেই লক্ষ্যে বড় চ্যালেঞ্জ ডিঙাতে হবে স্বাগতিকদের। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে করতে হবে ২৮৭ রান। প্রথমে ব্যাট ব্যাট করে শন উইলিয়ামসের সেঞ্চুরি ও ব্রেন্ডন টেইলরের হাফসেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ২৮৬ রান করেছেন সফরকারীরা।
এ ম্যাচে বড় নিয়ামক হতে পারে শিশির। এটি দুদলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। তা মাথায় রেখে শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিং নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
সূচনালগ্নেই দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে সফরকারীদের চেপে ধরেন লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। সিফাস জুওয়াও ক্লিন বোল্ড করে দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই আরেক ওপেনার হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে ইনসাইড এজ করে প্যাভিলিয়নে পধ ধরান আবু হায়দার রনি।
৬ রানে ২ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। তবে পরক্ষণে প্রতিপক্ষের ওপর সেই চাপটা ধরে রাখতে পারেননি টাইগার বোলাররা। তারা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেও দারুণ খেলেন ব্রেন্ডন টেইলর ও শন উইলিয়ামস। তাদের সোজা ব্যাটে শুরুর ধাক্কা সামলে এগিয়ে যায় সফরকারীরা।
একপর্যায়ে রীতিমতো চোখ রাঙাতে থাকেন এ জুটি। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। হার মানেন টেইলর। নাজমুল ইসলাম অপুর বলে মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ৭২ বলে ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৫ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। এটি তার ক্যারিয়ারের ৩৬তম ফিফটি। এ নিয়ে ব্যাক টু ব্যাক ফিফটি হাঁকান তিনি। টেইলরের বিদায়ে ভাঙে ১৩২ রানের জুটি।
পরে উইলিয়ামসকে যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন দেন সিকান্দার রাজা। মূলত এতেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। দুজনের জোটে দুরন্ত গতিতে ছুটে তারা। কিন্তু হঠাৎই হার মানেন রাজা। নাজমুল ইসলামকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সৌম্য সরকারকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ৫১ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৪০ রান করেন এ অলরাউন্ডার।
রাজা ফিরলেও একপ্রান্ত আগলে থেকে যান উইলিয়ামস। টাইগার বোলারদের শাসাতে থাকেন তিনি। তুলে নেন ক্যারিয়ারের ২য় সেঞ্চুরি। তার ব্যাটে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায় রোডেশিয়ানরা।
শেষদিকে তাকে সঙ্গ দেন পিটার মুর। ক্রিজে এসেই ঝড় তোলেন তিনি। ২১ বলে ২ ছক্কায় ২৮ রানের ক্যামিও খেলে ফেরেন মুর। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেটে ২৮৬ রান করে লালচাঁদ রাজপুতের দল। উইলিয়ামস ১২৯ রানে অপরাজিত থাকেন। ১৪৩ বলে ১০ চার ও ১ ছক্কায় এ হার না মানা ইনিংস খেলেন বাঁহাতি ব্যাটার।
অপর প্রান্তে ১ রানে অপরাজিত থাকেন এল্টন চিগুম্বুরা। বাংলাদেশের হয়ে নাজমুল ইসলাম ২টি এবং সাইফউদ্দিন ও আবু হায়দার নেন ১টি করে উইকেট। প্রথম দুই ওয়ানডেতে দাপুটে জয়ে ইতিমধ্যে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছেন টাইগাররা।