বিনোদনের খবর: তনুশ্রী দত্ত ও রাখি সায়ন্তর ঝগড়া থামছেই না! বর্ষীয়ান অভিনেতা নানা পাটেকারের বিরুদ্ধে তনুশ্রী দত্তর যৌন হেনস্তার অভিযোগের পর গোটা বলিউডে শুরু হয় ‘হ্যাশট্যাগ মি টু’ ঝড়। অনেকেই তনুশ্রীকে সমর্থন করেছেন, বলেছেন নিজেদের অভিজ্ঞতাও। আবার কেউ চুপচাপ এড়িয়ে গেছেন। কিন্তু প্রথম থেকেই তনুশ্রীর বিরোধিতা করে আসছেন রাখি সায়ন্ত। এবার রাখির বিস্ফোরক অভিযোগ, ‘তনুশ্রী সমকামী। ও আমাকে ধর্ষণ করেছে।’
সম্প্রতি মুম্বাইয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন রাখি। সেখানে তিনি দাবি করেন, সমকামী তনুশ্রী নাকি তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন। এমনকি শরীরে নারী হলেও তনুশ্রী অন্তরে পুরুষ।
রাখির দাবি, ‘১২ বছর আগে তনুশ্রী আমার প্রিয় বন্ধু ছিল। বিভিন্ন রেভ পার্টিতে আমরা যেতাম। সেখানে তনুশ্রী প্রচুর ড্রাগ নিত। আমাকেও ড্রাগ নিতে বাধ্য করত। ও আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় খারাপ ভাবে হাত দিত। বলিউডে অনেক সমকামী রয়েছে। তনুশ্রীও সমকামী।’
নানা পাটেকারের ঘটনা প্রকাশ্যে আনার পর রাখির ক্রমাগত বিরোধিতা দেখে তাঁর বিরুদ্ধে ১০ কোটি রুপির মানহানি মামলা করেন তনুশ্রী। তার প্রেক্ষিতে তনুশ্রীর বিরুদ্ধে ৫০ কোটির মানহানি মামলা করবেন বলে হুমকি দেন রাখি।
এর আগে নানা পাটেকার ও গণেশ আচার্যর বিরুদ্ধে তনুশ্রী দত্তর যৌন হেনস্তার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে রাখি সায়ন্ত বলেছেন, চলমান মি টুর ভিত্তিতে বিচার করা ঠিক নয়।
রাখি বলেছেন, মানুষের উচিত হি টু আন্দোলন শুরু করা। এতে যেসব পুরুষ যৌন হেনস্তার শিকার হয়েছেন, তাঁরাও তাঁদের হেনস্তার গল্পগুলো বলতে পারবেন। এবং তাঁদের কথাও শুনতে হবে।
রাখির প্রশ্ন, নারীর কথা শোনা হলে পুরুষের কথা কেন শোনা হবে না?
গত মাসে বঙ্গতনয়া তনুশ্রী দত্ত অভিযোগ করেন, ২০০৮ সালে ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবির একটি আইটেম গানের শুটিং চলাকালে নানা পাটেকার তাঁকে হেনস্তা করেছিলেন। এর পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। ১০ বছর পর ভারতে ফিরে একটি জাতীয় টেলিভিশনে হেনস্তা নিয়ে মুখ খোলেন তনুশ্রী। তিনি এ-ও বলেন, ওই সময় যখন তিনি শুটিং সেট থেকে বেরিয়ে যেতে চেয়েছিলেন, তখন হামলার শিকার হন।
পরে নানা পাটেকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন তনুশ্রী দত্ত। মামলাটির তদন্ত চলছে। সূত্র : আজ কি খবর