মোস্তাফিজুর রহমান : আশাশুনি থানা পুলিশের তৎপরতায় এলাকা ছেড়ে অন্যত্র গাঁ ঢাকা দিয়েছে আশাশুনির বড়দল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গা গ্রামের ভন্ড কবিরাজ আঞ্জুয়ারা ও তার স্বামী ভাড়ায় চালিত মেিিটর সাইকেল চালক শফিকুল ইসলাম। উল্লেখ্য গত ইং ২৩অক্টোবর ভন্ড কবিরাজের প্রতারণায় প্রতারিত হয়ে মধ্যম বড়দল এলাকার কারিগর পাড়ার ভাটা শ্রমিক শাহীনুর গাজীর স্ত্রী সুফিয়া বেগম বাদী হয়ে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যার তদন্তভার আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথের উপর বর্তায়। আশাশুনি থানা পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিকবার তাদের বাড়ীতে অভিযান চালানো হলেও তাদের কাউকে বাড়ীতে পাওয়া যায়নি বলে জানান আশাশুনি থানা পুলিশ। ভন্ড কবিরাজ আঞ্জুয়ারা ও তার স্বামী শফিকুল ইসলাম স্থানীয়দের মাধ্যমে পুলিশের বিষয়টি জানতে পেরে বর্তমানে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র গা ঢাকা দিয়েছে বলে জানাগেছে। একাধিক সূত্রে জানাগেছে ভন্ড কবিরাজ আঞ্জুয়ারা ও তার ঠকবাজ স্বামী শফিকুল ইসলাম বিভিন্ন এলাকায় কবিরাজি চিকিৎসার নামে সাধারন মানুষকে নিয়ে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে সরকার বিরুধী গোপন বৈঠক করতেন। এসকল কাজের অর্থ যোগান দিতে ভিন্ন ভিন্ন এলাকার সহজ সরল মানুষদের ধর্মের দোহায় দিয়ে কবিরাজি পন্থায় ঠকিয়ে তাদের নিকট থেকে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিতেন। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৪অক্টোবর বড়দল ইউনিয়নের মধ্যম বড়দল এলাকার কারিকর পাড়ার ভাটা শ্রমিক শাহীনুরের মায়ের কবিরাজি চিকিৎসা করানোর জন্য যান ভন্ড কবিরাজ আঞ্জুয়ারা বেগম ও তার ঠকবাজ স্বামী শফিকুল ইসলাম। চিকিৎসাকালে একাধিকবার তাদের বাড়িতে যাওয়া আসার এক পর্যায়ে কবিরাজ আঞ্জুয়ারা বেগম তাদের জানান আপনাদের বাড়ীর টিউবওয়েলের সন্নিকটে মাটির নিচে সাড়ে ১৯ কেজি পরিমান স্বর্ণ আছে। আপনারা যদি চান আমি তুলে দিতে পারি। তবে শর্ত থাকে এ স্বর্ণগুলো তুলতে হলে সাতক্ষীরা লাশকাটা ঘরের পাশে শ্মশানের দেবের থানে দেড়লাখ টাকা দিতে হবে। শর্ত অনুযায়ী সাতক্ষীরা লাশকাটা ঘরের পাশে শ্মশানের দেবের থানে দেড় লাখ টাকার পোটলা রেখে আসেন সুফিয়ার স্বামী। যা ভন্ড কবিরাজ আঞ্জুয়ারা, তার স্বামী শফিকুল, তাদের অজ্ঞাত গুরুবাবা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগে প্রকাশ। এব্যাপারে ভুক্তভোগী সুফিয়া জানান, আমরা অতি দরিদ্র পরিবারের মানুষ। ভূয়া কবিরাজের মিথ্যা কথা বিশ্বাস করে আমরা আমাদের সহায় সম্বল বন্ধক বা বিক্রয় করে এখন পথে বসেছি। সময় শেষ হতেই পাওনাদারদের পাওনা মিটিয়ে দিতে না পারলে হয়তো আত্মহত্যা করা ছাড়া হয়তো আর কোন পথ থাকবে না। তাই উপায় না পেয়ে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দায়ের করি। এব্যাপারে জানতে চাইলে আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, আসামী আটকের জন্য পুলিশের তৎপরতার পর তারা গা ঢাকা দিয়েছে। তবে তাদেরকে ধরে আইনের আওতায় নিয়ে আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। আশা করি খুব শীঘ্রই তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবে আশাশুনি থানা পুলিশ।
পূর্ববর্তী পোস্ট