আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সরকারী অধিকাংশ ব্যাংকগুলো বিল গ্রহণ বন্ধ করায় ভোগান্তির অন্ত নেই বুধহাটা এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের। বিষয়টি আশাশুনি সাব জোনাল অফিসেরর এজিএম মধু সুধন রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি মোবাইলে বিকাশের মাধ্যমে বিল জমা দিতে পরামর্শ দিয়েছেন।
জান গেছে, বুধহাটা বাজারে অবস্থিত সোনালী ব্যাংক দীর্ঘদিন পল্লী বিদ্যুতের বিল জমা নিলেও বর্তমানে অফিসিয়াল নিষেধাজ্ঞার কারণে বিল নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। এব্যাপারে জানতে চাইলে সোনালী ব্যাংক বুধহাটা শাখার শাখা ব্যবস্থাপক তাপস কুমার দেবনাথ বলেন, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড থেকে সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি বিদ্যুৎ বিল আদায় কার্যক্রম বন্ধের একটি নোটিশ পাঠান। সে মোতাবেক আমরা বিদ্যুৎ বিল জমা নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। অন্যদিকে বুধহাটা বাজারে অবস্থিত রূপালী ব্যাংক তাদের অফিসের জনবলের অভাবের কারণে ২০১৬ সালের পর থেকে বিদ্যুৎ বিল নেওয়া বন্ধ করে দেন। এব্যাপারে জানতে চাইলে রূপালী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা বলেন, আমার যোগদানের আগে থেকেই এ শাখায় বিদ্যুৎ বিল নেওয়া বন্ধ আছে। তবে ব্যাংকে জনবল বাড়ছে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সাথে যোগাযোগ করে আগামী জানুয়ারি’১৯ থেকে বিদ্যুৎ বিল গ্রহণের আশা ব্যক্ত করেন তিনি। সরকারী দুটি ব্যাংক বিদ্যুৎ বিল নেওয়া বন্ধ করায় গ্রাহকরা বাধ্য হয়ে বুধহাটা বাজারে সদ্য প্রতিষ্ঠিত আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকে বিল ব্যতিত অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করছেন বলে জানাগেছে। এব্যাপারে আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক এর কাছে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, পল্লী বিদ্যুৎ থেকে অনুমতি স্বাপেক্ষে বিলের অর্থ বাদে অতিরিক্ত বিল নেওয়ার অনুমতি আছে। তবে তারা অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের কোন বৈধ্য কাগজপত্র এ প্রতিবেদককে দেখাতে পারেননি। জানাগেছে, আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক পল্লী বিদ্যুতের বিলের অর্থ ছাড়া ৬শত টাকা পর্যন্ত বিলে ৫টাকা, ৬শত এক টাকা থেকে ১৫শত টাকা পর্যন্ত বিলে ১০টাকা এবং ১৫শত টাকা উর্দ্ধের সকল বিলে অতিরিক্ত ১২টাকা করে নিচ্ছেন বলে জানান তারা। বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে না পারা গ্রামের সহজ সরল ব্যক্তি আব্দুল গফুর জানান, আমি লেখাপড়া জানিনা। আমি হত দরিদ্র পরিবারের লোক। আমি প্রতিমাসে সোনালী ব্যাংকে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতাম। কিন্তু আল আরাফা ইসলামী ব্যাংকে বিল দিতে গিলে আমার কাছে বিল বাদে অতিরিক্ত টাকা দাবী করে। কিন্তু আগেতো ব্যাংকে অতিরিক্ত টাকা দেওয়া লাগতো না! বিল দিতে এসে আব্দুল গফুরের মত শত শত গ্রাহককে অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। এছাড়া কুল্যা ইউনিয়নের গুনাকরকাটি শাখার কৃষি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা বলেন, আমরা প্রতি মাসের ১১তারিখ থেকে ৩০ বা ৩১ তারিখ পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল গ্রহণ করছি। এমতাবস্থায় পূর্বের ন্যায় ভোগান্তি ছাড়া সরকারী ব্যাংক গুলোতে পল্লী বিদ্যুৎ বিল গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
পূর্ববর্তী পোস্ট