বিদেশের খবর: কারাগারে আটক অবস্থায় নির্যাতনের শিকার হয়ে এবার মারা গেছেন সৌদি সাংবাদিক ও লেখক তুর্কি বিন আবদুল আজিজ আল-জাসর। গত মার্চে আল-জাসরকে দুবাই থেকে গ্রেফতার করেছিল সৌদি পুলিশ।
আরবি ভাষার গণমাধ্যম দ্য নিউ খালিজের এক প্রতিবেদনের বরাতে এ খবর জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।
সৌদি কর্তৃপক্ষ ও রাজপরিবারে সংঘটিত নানা ঘটনার তথ্য ফাঁসের অভিযোগে সাংবাদিক ও লেখক তুর্কি বিন আবদুল আজিজকে গ্রেফতার করে দেশটির পুুলিশ। গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে আটক অবস্থায়ই দিনের পর দিন নির্যাতন করে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে সংবাদ মাধ্যমটি।
এদিকে, গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনে ব্যক্তিগত কাগজপত্র আনার প্রয়োজনে ঢোকার পর থেকেই নিখোঁজ সৌদির খ্যাতনামা সাংবাদিক খাশোগি। শুরু থেকেই তুরস্ক দাবি করে আসছে, খাশোগিকে কনস্যুলেট ভবনের ভেতর সৌদি ঘাতক টিমের সদস্যরা হত্যা করেছে এবং তার লাশ টুকরো টুকরো করে কোথাও ফেলে দিয়েছে।
তুরস্ক আরও দাবি করেছে যে, সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যার প্রমাণও মুছে ফেলছে সৌদি তদন্তকারীরা। সম্প্রতি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে খাশোগিকে খুনের ঘটনায় হত্যার তদন্ত করতে তুরস্কে এসেছে সৌদি তদন্তকারীরা। কিন্তু তারা সুষ্ঠু তদন্ত না করে এই হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ মুছে ফেলছে বলে অভিযোগ করেছে তুরস্ক। এ খবর জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
এ ব্যাপারে এক তুর্কি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, খাশোগি হত্যার নয় দিন পর তদন্তে সহযোগিতা করতে সৌদির ১১ সদস্যের একটি তদন্তকারী দল তুরস্কে আসে। তারা যৌথ তদন্তের নাম করে উল্টো হত্যার প্রমাণ ধ্বংস করছে। তিনি জানান, সৌদির ওই তদন্তকারী দলে দুজন কেমিস্ট ও টক্সিওলোজি বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। তারাই হত্যার প্রমাণ মুছে ফেলার কাজটি করছেন।
এদিকে, খাশোগি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক ১৮ ব্যক্তিকে তুরস্কের কাছে হস্তান্তরের জন্য সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। সম্প্রতি তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় ক্ষমতাসীন একে পার্টির প্রাদেশিক নেতাদের এক সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট আরও বলেছেন, সৌদি আরবে আটক ১৮ জনের মধ্যেই খাশোগির খুুনি রয়েছে বলে মনে হয়। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করতে চাইলে আটক ব্যক্তিদের তুরস্কের কাছে হস্তান্তর করা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন। খাশোগির মরদেহ কোথায় রয়েছে তা জানাতেও সৌদির প্রতি আহ্বান জানান তিনি।