অনলাইন ডেস্ক: ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গত শুক্রবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদান কার্যক্রম শুরু হয়। ফলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হতে সারা দেশ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ভিড় জমান আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে।
এতে কয়েকদিন ধরে ধানমন্ডি এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে সব সময়। এবার সেই উৎসবের ছোঁয়া লেগেছে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে।
রবিবার বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে আজ সোমবার থেকে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু করলে ধানের শীষের প্রার্থী হতে সারা দেশ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ভিড় জমান রাজধানীর নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য ফরম সংগ্রহের মাধ্যমে দলটির মনোনয়নপত্র বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়। ফলে সকাল থেকেই স্লোগানে স্লোগানে নয়া পল্টন এলাকা মুখরিত হয়ে উঠেছে। হাজার হাজার নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে সরগরম বিএনপি কার্যালয়।
মনোনয়ন ফরম বিতরণের নির্ধারিত সময় সকাল ১০টা থাকলেও ভোর থেকেই নেতা-কর্মী ভিড় জমান সেখানে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে নেতা-কর্মীর ভিড়; যার কারণে উৎসরমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে সব সময়। এ যেন নির্বাচনী ঢল নেমেছে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে।
প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও দলের নেতা-কর্মীদের।
এদিকে, মনোনয়ন ফরম বিক্রি ঘিরে এই ভিড়ের কারণে পল্টন এলাকায় দেখা গেছে তীব্র যানজট। মিছিল ও আগত নেতা-কর্মীদের ভিড়ের কারণে ওই এলাকায় যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে অনেকে হেঁটেই গন্তব্যে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
জানা যায়, আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য ফরম সংগ্রহের মাধ্যমে দলটির মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু হয়েছে। ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনের জন্য খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, আজ সোমবার ও আগামীকাল মঙ্গলবার নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করতে পারবেন আগ্রহীরা। এটা সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এ কার্যক্রম চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
মনোনয়নপত্র পূরণ করে আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে এই কার্যালয়ে জমা দিতে হবে।
ফর্মের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার টাকা আর মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময় দিতে হবে ২৫ হাজার টাকা।