বিদেশের খবর: বিশ্বব্যাপী অভিবাসী ও শরণার্থী শিশুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এ প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ বিভিন্ন দেশকে তার দেশের শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে এসব শিশুকে যুক্ত করার আহবান জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
ইউনেস্কো সাংস্কৃতিক সংস্থা মঙ্গলবার তাদের ২০১৯ সালের গ্লোবাল এডুকেশন মনিটরিং প্রতিবেদনে বলেছে, অভিবাসী ও শরণার্থী শিশুর সংখ্যা ২০০০ সাল থেকে ২৬ শতাংশ বেড়ে প্রায় এক কোটি ৮০ লাখে দাঁড়িয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বাধ্য হয়ে গৃহহীন হয়ে পড়া বিশ্বের মোট লোকের প্রায় অর্ধেকের বয়স ১৮ বছরের নিচে। আর অভিবাসন প্রত্যাশী এসব শিশু যেসব দেশে আশ্রয় নিচ্ছে সেসব দেশের সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থায় তাদের শিক্ষা গ্রহণের তেমন কোন সুযোগই নেই।
এছাড়া এসব শিশুকে শিক্ষার বাইরে রাখতে না চাইলেও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে নানা ধরণের সমস্যার মুখে পড়তে হয়। যেমন এসব অভিবাসী শিশুকে ভাষা শিক্ষা দেয়ার মতো সামর্থ্য ওইসব দেশের হয়তো থাকে না।
লেবানন ও জর্ডান নাগরিক ও শরণার্থীদের জন্য সকাল ও বিকেলে পৃথক ক্লাসের ব্যবস্থা করেছে। প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের কারণে বহু লোক পালিয়ে গিয়ে এ দুটি দেশে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে ২০১৫ সালে কার্যকর করা চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেলের উন্মুক্ত নীতির অংশ হিসেবে শরণার্থী শিশুদের যথাযথ শিক্ষা দিতে আর্থিকভাবে শক্তিশালী দেশ জার্মানির ৪২ হাজার নতুন শিক্ষক প্রয়োজন হবে।