নিজস্ব প্রতিবেদক: তালা থানা পুলিশের হাতে আটক হবার ১ ঘন্টার মধ্যেই থানা হাযতের তালা খুলে রুবেল (২৭) নামের এক আসামি পালিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রুবেল হাযত থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনার পর থেকে তাকে ফের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এরআগে তালা সদরের মালোপাড়ার এক গৃহবধুর ঘরের মধ্য থেকে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে পুলিশ তাকে আটক করে। আটক হওয়া রুবেল তালার বারুইহাটি গ্রামের মো. তাজউদ্দীনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ২০১০ সালে শিশু আরাফাত হত্যা মামলা রয়েছে। এছাড়া বিগদ বছর সে তালা মালোপাড়ার নিমাই হালদারের ছেলে দেবাস হালদারের ঘরে বোমা রেখে তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো চেষ্টা করে। একারণে তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। সূত্রে জানাগেছে, রুবেল দীর্ঘদিন ধরে দিপঙ্কর হালদারের স্ত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে আসছে। এঘটনায় বাঁধাদিলে রুবেল হুমকি প্রদান করতো। এমনকি দিপঙ্করের খালাতো ভাই দেবাস ওই অনৈতিক কাজের জোর বাঁধা দিলে রুবেল কৌশলে দেবাসের ঘরে বোমা রেখে আসে। পরে পুলিশ দিয়ে দেবাসকে ফাঁসাতে যেয়ে উল্টো রুবেল ফেঁসে যায। এছাড়া একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০১০ সালে রুবেল আরাফাত নামের এক শিশুকে খুন করে। ওই মামলায় দীর্ঘদিন জেল খেটে সে বাড়িতে আসে। তালার মালোপাড়ার একাধিক ব্যক্তি জানান, অনৈতিক সম্পর্কের জের ধরে প্রতিনিয়ত দিপঙ্করের বাড়িতে তার স্ত্রীর এখানে রুবেল আসে ও রাত্রি যাপন করে। বুধবার রাতেও সে ওই মহিলার ঘরে আসে এবং বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ঘরের মধ্যে অবস্থান করে। এবিষয়টি পাশের বাড়ির মহিলারা জানতে পেরে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে রুবেলকে দিপঙ্করের ঘর থেকে গ্রেফতার করে। তবে ওই গৃহবধু সে সময় ঘরের মধ্যে ছিলনা। এদিকে, আটক হবার ১ ঘন্টার মধ্যেই দুপুর ২টার দিকে থানা হাযতের তালা খুলে রুবেল পালিয়ে যায়। এবিষয়টি জানার পর থেকে থানার সকল অফিসার এবং কনস্টেবল বিভিন্ন অঞ্চলে রুবেলকে পুনরায় গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু করে। যা রাত পর্যন্ত (বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা) অব্যাহত থাকলেও তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। তবে রুবেলের সাথে অন্য কোনও আসামি পালিয়ে গেছে কিনা বা সেসময় হাযতে আর কোনও আসামি ছিল কিনা সে সম্পর্কে থানার কোনও সূত্র থেকে জানা যায়নি। এবিষয়ে জানতে চাইলে তালা থানার ওসি মো. হাসান হাফিজুর বলেন, আসলে রুবেল কোন আসামি না। ওই রুবেলের এক মহিলার সাথে সম্পর্ক রয়েছে। সে সূত্র ধরে স্থানীয় তাকে আটক করে মারপিট করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিয়ে থানায় রাখে। পরবর্তীতে সে পুলিশকে কিছু না জানিয়ে চলে যায়। তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ জমা না পড়ায় আমরা কোন পদক্ষেপ নিতে পারিনি।
পূর্ববর্তী পোস্ট