দেশের খবর: ভবিষ্যত স্বপ্নের বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে তরুণদের বিভিন্ন উদ্যোগ, পরামর্শ ও চাওয়া-পাওয়ার কথা শুনলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত ‘লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা’ অনুষ্ঠানে তরুণদের মুখোমুখি হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন ও পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। সেই সঙ্গে তরুণদের কাছ থেকে গ্রহণ করেন দেশ গঠনে তাদের পরিকল্পনা ও পরামর্শের কথা।
‘ভবিষ্যতে কেমন বাংলাদেশ দেখতে চায় তরুণরা অথবা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হলে কোন কোন সমস্যার সমাধান করবে তারা’- এমন অনেক বিষয়ে আলোচনা হয় এবারের লেটস টক-এ।
সারাদেশ থেকে আসা ১৫০ জন অংশগ্রহণকারী তরুণের সঙ্গে দেশের বিভিন্ন নীতি নির্ধারনী বিষয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন পেশাজীবী, চাকরিজীবী, উদ্যোক্তা, শিক্ষার্থী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং দেশ গঠনে উদ্যমী তরুণ প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন এই আয়োজনে। সেখানে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী তরুণদের মুখোমুখি হয়ে তাদের বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দেন। তরুণদেরকেও বেশ কিছু প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে বর্তমান প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার কৈশোর ও তারুণ্যের সময়ে ঘটে যাওয়া অজানা অনেক তথ্য তুলে ধরণের অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে।
একটি রাজনৈতিক পরিবারে বড় হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, তার কৈশোর এবং তারুণ্য কী অন্যদের চাইতে আলাদা ছিল? কী রকম দুরন্ত সময় পার করেছেন তিনি? এমন অনেক প্রশ্নেরই উত্তর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়াও কৈশোর ও তারুণ্যে রাজনীতিতে যোগদান, স্কুলের ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনে যোগ দান, মুক্তিযুদ্ধকালে তার অবরুদ্ধ জীবন, পঁচাত্তরে দেশের বাইরে তার পরিবারের কঠিন জীবনযাপন, ১৯৮০ সালে লন্ডনে যাওয়া, রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের অনুপ্রেরণা, দেশের মানুষের কাছে ফিরে আসা এমন আরো অনেক বিষয়ে অজানা তথ্য তরুণদের জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তরুণদের কাছ থেকে আসা এমন আরো সব আকর্ষণীয় প্রশ্ন ও তার উত্তর নিয়ে অপেক্ষা করছে ‘লেটস টক উইথ শেখ হাসিনা’। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় তা প্রচার হবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে।