দেশের খবর: ‘মিথ্যা-বানোয়াট অভিযোগ’ করায় বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। তিনি এ ধরনের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে দলটিকে ভবিষ্যতে সতর্কও হতে বলেছেন।
বিএনপির পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার কাছে বেশ কয়েকবার লিখিত আকারে হেলালুদ্দীন আহমদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইনভঙ্গের অভিযোগ করা হয়েছে।
বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের অভিযোগ, হেলালুদ্দীন আহমদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপারদের ডেকে গত ১৬ নভেম্বর বৈঠক করেছেন। পরবর্তীতে ২০ নভেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার তার এলাকার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের ডেকে কিছু সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। এসব ঘটনায় নির্বাচনী আইনের লঙ্ঘন হয়েছে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি এসব ঘটনায় ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে ‘অতি দলবাজ’ বলে অভিহিত করে তার শাস্তি এবং প্রত্যাহারও চেয়েছে সিইসির কাছে।
শনিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, গত ২০ নভেম্বর রাতে ঢাকা অফিসার্স ক্লাবের চার তলার পেছনের কনফারেন্স রুমে এক গোপন মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালউদ্দীন আহমদ। এরপরই ইসি সচিবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে কমিশনের কাছে লিখিত দিয়েছে বিএনপি।
এসব বিষয় হেলালুদ্দীন আহমদের কাছে তুলে ধরা হলে তিনি নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপির অভিযোগ-সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিব (জনসংযোগ) এসএম আসাদুজ্জামান ছিলেন। আমরা চট্টগ্রামের বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হোটেল গিয়েছি। সেখান থেকে পরদিন সকালে প্রোগ্রামে গেছি।’
বিএনপির সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘তাদের অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। আপনারা জানেন, আপনারা এখানে থাকেন। আমি এখানে (ইসি ভবন) ৮-৯টা পর্যন্ত থাকি। সংবাদ সম্মেলনে যে কথা বলা হয়েছে, পুরোপুরি মিথ্যা একটা অভিযোগ আনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সচিব প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা। নির্বাচন কমিশন একটি ইন্ডিপেনডেন্ট বডি। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বাইরে ইসি সচিবে কোনো সত্তা নেই।’
‘সেই জন্য বলছি বিএনপির বক্তব্য পুরোপুরি মিথ্যা। আমি তীব্র নিন্দা জানাই। এ ধরনে মিথ্যা অপপ্রচার যেন আর না করা হয়, এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলবো। বিতর্কিত করতে এবং অহেতুক চাপ সৃষ্টির জন্য হেয় করার জন্য এসব করা হচ্ছে।’
বিএনপিকে সতর্ক করতে কোনো ব্যবস্থা নেবেন কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আমি আগামীকাল বিষয়টি কমিশন বৈঠকে তুলবো, সেখানে সিদ্ধান্ত হবে।
সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর পোস্টারে কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছবি ব্যবহার করা যাবে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা দল সিদ্ধান্ত নেবে। আদালতের আদেশের পরিপ্রক্ষিতে বিএনপি চেয়ারপারসনের ফটো পোস্টারে ব্যবহার করা নিয়ে নির্বাচন কমিশন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।