দেশের খবর: সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি প্রার্থী হতে চাইলে তাদের পদ ছেড়ে নির্বাচন করতে হবে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ এই জনপ্রতিনিধিরা স্বপদে থেকে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। শিগগিরই এ সংক্রান্ত বিশেষ পরিপত্র জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন ইসি কর্মকর্তারা।
শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত ৪০তম কমিশন সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। ১৯ নভেম্বর বিএনপির পক্ষ থেকেও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে এ সংক্রান্ত বিষয়ে নির্দেশনা জারির অনুরোধ করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এজন্য বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে কমিশন।
জানতে চাইলে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘শনিবার কমিশন সভায় সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা হয়েছে। রোববার এ বিষয়ে আইনের ব্যাখ্যাগুলো তুলে ধরে বিস্তারিত জানাবো।’
নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম জানান, রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে সার্বিক বিষয়ে ইসি আইনি ব্যাখ্যাগুলো তুলে ধরবে। তারা মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে তা মেনে সিদ্ধান্ত দেবে। এরপরও কোনো বিষয়ে আপিল হলে তা নির্বাচন কমিশনে আসবে। কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে।
নির্বাচন পরিচালনা শাখার কর্মকর্তারা জানান, আদালতের পর্যবেক্ষণে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদকে লাভজনক হিসেবে বলা হয়েছে। এজন্য স্বপদে বহাল থেকে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ নেই। একইসঙ্গে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি পৌরসভা ও ইউপি চেয়ারম্যানের বিষয়েও একই ধরনের নির্দেশনা থাকবে ইসির।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২ অনুচ্ছেদের প্রার্থীর অযোগ্যতায় বলা হয়েছে- (গ) প্রজাতন্ত্রের বা কোন সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের কোন লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকলে তিনি প্রার্থী হতে পরবেন না। উল্লেখ্য যে ‘লাভজনক পদ’ (office of profit)) অর্থ প্রজাতন্ত্র কিংবা সরকারি সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ কিংবা সরকারের ৫০% এর অধিক অংশীদারিত্ব সম্পন্ন কোম্পানিতে সার্বক্ষণিকভাবে নিয়োজিত কোন পদ বা অবস্থান।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর ভোট হবে। এর আগে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা, ২ ডিসেম্বর বাছাই ও ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় রয়েছে।