খেলার খবর: শ্রীলঙ্কার যখন নবম উইকেটের পতন হলো, তখনো তাদের এই ম্যাচ জয়ের জন্য ১০১ রান দরকার। ইংল্যান্ডের জয়টা তখন সে ফ সময়ের ব্যাপার। ওখান থেকেই ইংলিশ ক্রিকেটারদের দুশ্চিন্তায় ফেলে দিলেন শেষ জুটি সুরঙ্গ লাকমল ও পুষ্পাকুমারা। দুই জনে ৫৮ রানের জুটি করলেন। এক সময় মনে হচ্ছিলো, এরা দুই জন কোনো নাটকের জন্ম দিয়ে ফেলবেন হয়তো।
শেষ পর্যন্ত নাটকীয় কিছু হয়নি। জয় বা ড্র কোনো কিছুই পায়নি শ্রীলঙ্কা। আগের দুই টেস্টের মতো গতকাল কলম্বোতেও হেরেছে তারা। আর সিরিজের শেষ এই টেস্ট ৪২ রানে হারার ভেতর দিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাটিতে হোয়াইট ওয়াশ হলো শ্রীলঙ্কা।
প্রথম টেস্ট গলে ইংল্যান্ড জিতেছিলো ২১১ রানের বিশাল ব্যবধানে। এরপর ক্যান্ডিতে ইংল্যান্ড জেতে ৫৭ রানে। তৃতীয় ম্যাচে এসে ব্যবধান আরেকটু কমাতে পারলেও ফলের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
কলম্বো টেস্টের সুর বেঁধে দিয়েছিলেন জনি বেয়ারস্টো। প্রথম ইনিংসে তার সেঞ্চুরি ও বেন স্টোকসের ফিফটির সাথে আরও কয়েকটা মাঝারি ইনিংসে ভর করে অল-আউট হওয়ার আগে ৩৩৬ রান করে ইংল্যান্ড। জবাবে শ্রীলঙ্কা ২৪০ রানে অল-আউট হয় প্রথম ইনিংসে। দ্বিতীয় ইনিংসে দিলরুয়ান পেরেরা আরও একবার ইনিংসে ৫ উইকেট তুলে নেন। ইংল্যান্ড অল-আউট হয় ২৩০ রানে। ফলে শ্রীলঙ্কার সামনে সম্মান বাঁচানোর এই ম্যাচ জেতার জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩২৭ রান।
আগের দিনই শ্রীলঙ্কার পা পিছলে যেতে শুরু করেছিলো। ৫৩ রান তুলতে তারা ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলো। তবে গতকাল বাকি ৬ উইকেটে বেশ প্রতিরোধ গড়ে স্বাগতিকরা। আগের দিন ১৫ রানে অপরাজিত কুশল মেন্ডিস ৮৬ রানের ইনিংস খেলেন। লক্ষণ সান্দাকান ৭ রান করে আউট হয়ে গেলেও রোশেন সিলভা কুশলকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে দলকে অনেকটাই শক্ত অবস্থায় নিয়ে যান। রোশেন ১৬১ বলে ৬৫ রান করে ফেরেন। ৫ উইকেটে ১৮৪ রান তোলে শ্রীলঙ্কা; কিন্তু ওখান থেকে আবারও দ্রুত পা হড়কায় তাদের। ২২৬ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে লঙ্কানরা।
আর শেষ জুটিতে একটা প্রতিরোধ গড়ে স্বপ্ন দেখাচ্ছিলো তারা; কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। ইংল্যান্ডের লিচ ও মঈন আলী ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড-১ম ইনিংস: ৯২.৫ ওভারে ৩৩৬/১০
এবং ২য় ইনিংস: ৬৯.৫ ওভারে ২৩০/১০
শ্রীলঙ্কা-১ম ইনিংস: ৬৫.৫ ওভারে ২৪০/১০
এবং ২য় ইনিংস ৮৬.৪ ওভারে ২৮৪/১০ (কুশল মেন্ডিস ৮৬, রোশেন ৬৫, পুষ্পাকুমারা ৪২*, করুনারত্নে ২৩; লিচ ৪/৭২, মঈন ৪/৯২)
ফল: ইংল্যান্ড ৪২ রানে জয়ী
সিরিজ: ইংল্যান্ড ৩-০ ব্যবধানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: জনি বেয়ারস্টো
ম্যান অব দ্য সিরিজ: বেন ফোকস