সাম্প্রতিক প্রেসিডেন্টদের তুলনায় সবচেয়ে কম জনসমর্থন নিয়ে আগামী শুক্রবার শপথ নেবেন ৪৫ তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জনমত জরিপে মাত্র ৪০ শতাংশের সমর্থন পেয়েছেন ট্রাম্প। বিদায়ী ৪৪ তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শপথ নেয়ার আগে জনসমর্থন ছিলো ৮৪ শতাংশ।
ট্রাম্পের জনপ্রিয়তার এমন পতন উঠে এসেছে প্রভাবশালী মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন/ওআরসি’র মতামত জরিপে।
জরিপের ফলাফল অনুযায়ী তার আগের ৩ প্রেসিডেন্টের চেয়ে ২০ পয়েন্টেরও নিচে আছেন ট্রাম্প। ২০০৯ সালে শপথ গ্রহণের আগে ওবামার প্রতি জনসমর্থন ছিলো ৮৪ শতাংশ। ১৯৯২ সালে বিল ক্লিনটনের শপথ গ্রহণের আগে তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলো ৬৭ শতাংশ মার্কিনী। জর্জ ডব্লিউ বুশ ২০০১ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার আগে তার প্রতি জনসমর্থন ছিলো ৬১ শতাংশ।
প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে শপথ গ্রহণের আগ পর্যন্ত দেশীয়-আন্তর্জাতিক বিতর্ক সামলাতে গিয়ে ট্রাম্পের বর্তমান অবস্থা টালমাটাল। এমন অবস্থায় তার যোগ্যতা নিয়ে সন্দিহানদের সংখ্যাটা একলাফে বেড়ে গেছে।
জরিপে ৫৩ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলছে, ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্য এবং কাজকর্মে তার প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতার ওপর আস্থা কমে আসছে। এমনকি ট্রাম্প আদৌ ভালো না মন্দ প্রেসিডেন্ট হবে এমন মতামত জরিপেও সংকট স্পষ্ট। ৪৮ শতাংশের মতামত হচ্ছে ট্রাম্প ভালো প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন। আবার তিনি ভালো প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না বলে মত দিয়েছে ৪৮ শতাংশ মার্কিনী। অর্থাৎ সমান দুভাগে ভাগ হয়েছে জরিপে অংশ নেয়া মার্কিনীরা।
দেশ সামলাতে পারবেন কিনা এমন বিষয়ে সন্দিহানের সংখ্যা বাড়লেও ট্রাম্পের কিছু প্রস্তাবে জনসমর্থনের মাত্রা কমেনি। যেমন, মেক্সিকোতে যেসব কোম্পানি পণ্য উৎপাদন করে তাদের ওপর শুল্ক চাপানোর প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছে ৭১ শতাংশ মার্কিনী। নাফটা চুক্তি পর্যালোচনার কথায় সমর্থন রয়েছে ৬১ শতাংশ।
এসব মার্কিনী স্বার্থ ভিন্ন অন্য আন্তর্জাতিক ইস্যুতে ট্রাম্পের যোগ্যতার প্রতি আস্থাও মারাত্মক হারে কমেছে। বিশেষ করে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস নির্মূল প্রসঙ্গে তার যোগ্যতা আবারও বড় প্রশ্নের মুখে। কারণ জরিপে প্রতি ১০ জনের মাত্র ৪ জন মনে করেন আইএস নির্মূল করতে পারবেন ট্রাম্প।