স্বাস্থ্য কণিকা: চকলেট খেতে ভালোবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু আমাদের মধ্যে চকলেট সম্পর্কিত একটি ভ্রান্ত ধারণা কাজ করে যে, বেশি বেশি চকলেট খেলে ওজন বেড়ে যায়। তাছাড়া ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। এই ধারণাটি তো সত্য নয়ই বরং চকলেটের রয়েছে জাদুকরী কিছু ক্ষমতা। যা জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন! আসুন জেনে নিই চকলেটের কিছু উপকারী দিক।
ক্যান্সার প্রতিরোধ: ক্যান্সার প্রতিরোধে চকলেট কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কেননা চকলেটে ব্যবহৃত কোকোয়াতে রয়েছে pentameric procyanidin নামের দারুণ উপকারী একটি উপাদান যা ক্যান্সার আক্রান্ত উপাদানগুলোকে ছড়িয়ে পড়তে বাধা দেয়।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধ: আমাদের মধ্যে একটি ভ্রান্ত ধারণা কাজ করে যে চকলেট খেলে ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়মিত চকলেট গ্রহণের ফলে দেহে ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বেড়ে যায়। ফলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়।
স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়: চকলেটে রয়েছে ফ্লেভোনয়েড নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আপনার স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।
মস্তিষ্কের জন্য উপকারী: চকলেট মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। আমরা জানি যে আমাদের মস্তিষ্ক যত সচল থাকবে আমরা তত বেশি সচল থাকব সজীব থাকব। আর এর জন্য দরকার মস্তিষ্কে স্বাভাবিক রক্ত চলাচল বজায় রাখা। গবেষণায় দেখা গেছে চকলেট মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলে সহায়তা করে। ফলে মস্তিষ্ককে কার্যাবলী সঠিকভাবে পরিচালিত হয়ে থাকে।
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়: চকলেট হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। দেখা গেছে যে যারা চকলেট খান তাদের রক্তের প্লেটলেটের কাজ অনেক সহজে হয় ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। আর হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়।
ত্বক রক্ষা করে: গবেষণায় দেখা গেছে যে চকলেটে Flavonoids নামের উপাদান থাকে যা ত্বককে অতি বেগুনী রশ্মি থেকে রক্ষা করে।
চকলেট এর বহুবিধ স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে কিন্তু তাই বলে মাত্রারিক্ত চকলেট খাওয়া ঠিক না। এটি আবার আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি সাধন করবে। মাত্রারিক্ত চকলেট না খেয়ে নিয়মিত অল্প পরিমাণে চকলেট খাওয়ার অভ্যেস করতে পারেন।