বিদেশের খবর: শিখবিরোধী দাঙ্গার ঘটনায় কংগ্রেসের এক নেতাকে আজীবন কারাদণ্ড দিয়েছে ভারতের আদালত। ৭৩ বছর বয়সী ওই নেতার নাম সজ্জন কুমার।
প্রায় ৩৬ বছর আগে ইন্দিরা গান্ধী নিহত হওয়ার পর ওই দাঙ্গা সৃষ্টি হয়। দাঙ্গার সময় পাঁচ জনকে হত্যা ও একটি গুরুদুয়ারা পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ থেকে নিম্ন আদালতে খালাস পেয়েছিলেন সজ্জন কুমার।
১৯৮৪ সালে ভারতের তখনকার প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেস নেত্রী ইন্দিরা গান্ধী নিজের শিখ দেহরক্ষীদের গুলিতে নিহত হলে ছড়িয়ে পড়ে দাঙ্গা। নভেম্বরের ওই দাঙ্গায় ভারতজুড়ে তিন হাজারের বেশি শিখ নিহত হন। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় শিখদের ঘরবাড়ি, দোকানপাট।
সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) দিল্লি হাই কোর্টের এই রায়কে ওই দাঙ্গার ঘটনায় এ পর্যন্ত আসা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় হিসেবে বর্ণনা করেছে বিবিসি। দাঙ্গার সময় কংগ্রেস নেতা সজ্জন কুমার ছিলেন একজন পার্লামেন্ট সদস্য। শিখদের হত্যার জন্য তিনি জনতাকে উসকে দিয়েছিলেন বলে উঠে এসেছে এ মামলার রায়ে।
১৯৮৪ সালের ১ নভেম্বর সেই দাঙ্গার মধ্যে উন্মত্ত জনতা নিরপ্রিত কাউরের বাবাকে তার সামনেই পুড়িয়ে হত্যা করে। ৩৪ বছর পর বিচার পাওয়ায় ক্রন্দনরত নিরপ্রিত আদালতকে ধন্যবাদ জানান।
সজ্জনের আজীবন কারাবাসের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “মৃত্যুদণ্ড হলে এক মূহুর্তেই সে মারা যেত, কিন্তু এখন সে যন্ত্রণাভোগ করবে।”
হাই কোর্টের ২০৩ পৃষ্ঠার রায়ে বলা হয়, “১৯৪৭ সালের গ্রীষ্মে ভারত ভাগের সময় শিখ, মুসলিম ও হিন্দুসহ বহু লোক হত্যার শিকার হয়েছিলেন। ৩৭ বছর পর ভারত একই ধরনের আরেকটি শোকাবহ ঘটনা প্রত্যক্ষ করে, ওই বছরের ১ নভেম্বর থেকে ৪ নভেম্বর চার দিনে, পুরো দিল্লিতে ২ হাজার ৭৩৩ জন শিখকে নির্দয়ভাবে খুন করা হয়। তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়। দেশের বাকি অংশে আরও কয়েক হাজার শিখকে হত্যা করা হয়।”