বিনোদনের খবর: ২০০৬ সালে ‘কোটি টাকার কাবিন’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে শাকিব-অপুর জুটি গড়ে ওঠে। ২০০৮ সালে তাদের বিয়ে হয়। ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কলকাতায় তাদের পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। দাম্পত্যজীবনের টানাপোড়েনের মুখে চলতি বছরের মার্চে দু’জনের বিচ্ছেদ ঘটে। জয় এখন অপু বিশ্বাসের কাছেই থাকে। মাঝে মাঝে বিভিন্ন উৎসবে তাকে দেখতে যান শাকিব খান।
শাকিব ও অপুর বিচ্ছেদের মাধ্যমে যে দেয়াল তৈরি হয়েছিল, সে দেয়াল ক্রমশ ভঙ্গুর হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করছেন ভক্তরা। অবশ্য ভক্তদের দাবি একেবারে অযৌক্তিক নয়। শাকিব ও অপুর মাঝাখানে আব্রাম খান জয়, আর জয়কে ঘিরেই দুজনের মধ্যে এখন ‘সু সম্পর্ক।’
আর দুজনের মধ্যে এমন ‘মিহি’ সম্পর্ক অব্যাহত থাকলে খুব শিগগির ফের দুজনকে রিয়েল লাইফের জুটি হিসেবে দেখা যেতেও পারে- এটাও ভক্তদের আশা। অন্তত সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন গ্রুপ ঘাটলে শাকিব ভক্তদের এমন মন্তব্য অহরহ দেখা যায়।
শাকিবের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, অপু বিশ্বাস সম্পর্কে শাকিব কনসার্ন। দুজনই দুজনার খোঁজ খবর নিয়মিত রাখেন। তাঁদের ছেলে জয় এই সেতুবন্ধন তৈরি করে দিয়েছে। সম্প্রতি রাজধানীর বসুন্ধরার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে জয়কে প্লে-গ্রুপে ভর্তি করানো হয়েছে। ছেলেকে ভর্তি করাতে শাকিব ও অপু বিশ্বাস দুজনেই এদিন হাজির হয়েছিলেন। ভর্তির দিন থেকেই ক্লাশও শুরু করেছে জয়।
এর আগে জয়কে বারিধারার আরেকটি স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য নিয়ে যান শাকিব-অপু। ছেলের প্রতি সিরিয়াসনেস দেখে অপু মুগ্ধতা প্রকাশ করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘শাকিব খান জয়ের সবকিছুতেই অনেক সিরিয়াস। এত সকালে ভর্তির জন্য স্কুলে চলে আসবে, আমি ভাবতেও পারিনি। জয়ের বাবার প্রতি শ্রদ্ধা বেড়ে গেল।’
চলুতি বছরের মার্চে ভাইজান এলো ছবির সেটে অপুর সাথে দেখা হওয়া নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে শাকিব বলেন, ‘ছেলের জন্য হলেও আমাদের দেখা হয়েই যায়। আসলে ওরা (অপু ও জয়) শিলিগুড়ি যাবে, একটা মানত ছিল, সেই কারণে। যাওয়ার পথে আমিই বললাম দেখা করে যেতে। অনেক দিন দেখিনি ছেলেকে, তাই।’
সম্প্রতি শাকিব আর অপু তাদের ছেলের স্কুলে ম্যাচিং করা পোশাকে হাজির হন। জানা গেছে, মা অপু বিশ্বাসের কথা রেখেছেন বাবা শাকিব খান, পরেছেন একই ডিজাইনের পোশাক। একই ডিজাইনের পোশাক ছিল জয়ের পরনেও। এই পোশাকের ডিজাইন করেছেন অপু বিশ্বাস নিজেই।
ভক্তদের এমন হিসেব-নিকাশে অনুমান করা যেতেই পারে শাকিব-অপুর মধ্যে দূরত্বের যে দেয়াল গড়ে উঠেছিল তা ক্রমশ ভঙ্গুর হয়ে যাচ্ছে, ভেঙে যাচ্ছে।