গাজী আল ইমরান,শ্যামনগর: উপজেলার শ্যামনগর-মুন্সিগঞ্জ রাস্তার বিভিন্ন স্থান ভেঙে চুরে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কয়েকটি স্থানে বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। উঠে গেছে পিচ ও পাথর। যানবাহন গুলো অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। অন্তত ৩ বছর ধরে সড়কটির এ অবস্থা। ফলে সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের যাত্রী ও পথচারীদের কষ্টের শেষ নেই। ওই ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে প্রায় চারের তিন অংশ ভাঙাচোরা। এসব স্থানে বহু গর্ত তৈরি হয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী বলছেন, রোডস’র আদলে থাকায় আমার এ বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছেনা এ বিষয়ে রোডস’র সাতক্ষীরা অফিসে কথা বলতে হবে’। কিন্তু রোডস’র সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। সড়কটি যানবাহন চলাচলের উপযোগী করতে কয়েকটি স্থানে ইট দিয়ে গর্ত ভরাটের কাজ করেছেন কর্তৃপক্ষ। বংশিপুর থেকে মুন্সিগঞ্জ বাজার পর্যন্ত কমপক্ষে ২০টি স্থানে গর্ত তৈরি হয়েছে। এসব বড় গর্তের কারণে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। কোনো কোনো স্থানে রাস্তা এতটাই খারাপ যে অনেক যানবাহনের চালক ভাঙা চোরা স্থান এড়িয়ে পাশের মাটির অংশ ব্যবহার করেন। আর মাটির ওপর দিয়ে যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করায় আরোহীরা ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে বিগত কয়েকদিন পূর্বে মহান সংসদে সাতক্ষীরা-৪ আসনের মাননীয় সাংসদ এস,এম জগলুল হায়দার এ এলাকার মানুষের ভোগান্তির কথা তুলে ধরেছিলেন। এ জন্য সাতক্ষীরার সকল স্থরের মানুষ সাংসদকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পথে চলাচলকারী কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে সড়কটির বেশিরভাগ স্থান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে এ স্থানগুলো একেবারে ভেঙে চুরে ক্ষতবিক্ষত হয়। মাঝে মধ্যে ইট দিয়ে গর্ত ভরাট করা হলেও তা বেশি দিন টেকে না।ওই পথের বাসচালক নজরুল ইসলাম, নুর ইসলাম, শফি উদ্দিন বলেন, যাত্রী বোঝাইবাস নিয়ে এই ভাঙা চোরা রাস্তাতেই চলতে হয়। অনেক স্থানে তাঁরা মাটির ওপর দিয়ে গাড়ি চালাতে বাধ্য হন। এতে সব সময় ঝুঁকির মধ্যে থাকেন তাঁরা। ট্রাকচালক আজিজুল ইসলাম বলেন, এই রাস্তায় পণ্য বোঝাই করে ট্রাক চালিয়ে নিতে খুব কষ্ট হয়; গাড়ি উল্টে যাওয়ার আতঙ্কে থাকেন। ইজিবাইক চালক কামরুজ্জামান,সাধন কুমার বলেন, ভাঙা রাস্তা দিয়ে বড় গাড়ি যেতে পারলেও ছোট গাড়িগুলো প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। আর এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি চেয়েছেন হাজার হাজার সাধারন ভ্যান,সাইকেল চালক সহ সাধারণ মানুষ।
পূর্ববর্তী পোস্ট