অনলাইন ডেস্ক: বহাল তবিয়তে বেঁচে আছেন। কিন্তু তাকে মৃত ঘোষণা করে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করেছে পঞ্চায়েত। আর তা দেখিয়েই সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়েছে দুই ছেলে। এমনই অভিযোগ ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মালদহের গাজোলে। ভারতের অন্য একটি রাজ্য থেকে ফিরে সেই বাবাই এখন নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। প্রথমে পুলিশে নালিশ জানিয়ে সুরাহা না হওয়ায় এবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
মালদহের গাজোলের ঘোষপাড়ায় থাকেন বছর পঞ্চান্নের কার্তিক মণ্ডল। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। কার্তিকবাবুর তিন ছেলে, একজন বাইরে থাকেন। কার্তিক মণ্ডলের দাবি, মৃত্যুর সময় সমস্ত সম্পত্তি ছেলেকে লিখে দিয়ে গিয়েছিলেন তার মা। সেই সুবাদেই ৯০ শতক জমি ও ৬৩ শতক পাট্টা জমির মালিক তিনি। বোনেদেরও সম্পত্তির ভাগ দিতে চেয়েছিলেন। এতেই আপত্তি তুলেছিল কার্তিকবাবু ছেলেরা।
এদিকে কর্মসূত্রে উত্তরপ্রদেশের হরিদ্বারে চলে যেতে হয় কার্তিক মণ্ডলকে। বেশ কয়েক বছর হরিদ্বারেই ছিলেন তিনি। সেই সুযোগে কার্তিকবাবুর দুই ছেলে স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান ও এক সদস্যকে ভুল বুঝিয়ে বাবার ডেথ সার্টিফিকেট বের করেছে। সমস্ত সম্পত্তি নিজেদের নামে করে নেয় তারা। শুধু তাই নয়, ৬৩ শতক জমি রেখে বাকি জমি বিক্রিও করে দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন কার্তিক মণ্ডল।
কার্তিক মণ্ডল হরিদ্বার থেকে ফিরে যখন পুরো ঘটনা জানতে পারেন, তখন কার্যত মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তার। স্থানয়ি গাজোল থানার অভিযোগও দায়ের করেছিলেন তিনি। কিন্তু পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিবাদে পুলিশ হস্তক্ষেপ করতে চায়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। শেষপর্যন্ত নিজেকে ‘জীবিত’ প্রমাণ করতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন কার্তিক মণ্ডল।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য নন্দনা ঘোষের বলেন, ‘১২ বছর আগে কার্তিকবাবু হরিদ্বারে কাজে গিয়েছিলেন। তারপর থেকে তিনি বাড়ি ফেরেননি। দুই ছেলে জানিয়েছিল, তিনি মারা গিয়েছেন। তাই ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়েছিল। প্রয়োজনে আদালতে গিয়ে উত্তর দেব।’
অভিযুক্ত দুই ছেলে বিশ্বজিৎ মণ্ডল ও সুশান্ত মণ্ডলের কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।