দেশের খবর: জাতীয় পার্টি সরকারে থাকবে না বিরোধী দলে যাবে আজ বৃহস্পতিবার সংসদীয় দলের সভায় সে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন দলের কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের। বুধবার জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংগঠনের সভাপতিমণ্ডলীর সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানান তিনি। তবে সভার একটি সূত্র জানায়, সভার বেশির ভাগ সদস্য বিগত দিনের মতো একই সঙ্গে সরকার ও বিরোধী দলের অবস্থানে থাকার বিষয়ে মত দিয়েছেন।
সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া সভাপতিমণ্ডলীর ওই বৈঠক চলে টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা। এতে দলের কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, কাজী ফিরোজ রশীদ, ফয়সল চিশতী, আবু হোসেন বাবলা, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, সালমা ইসলামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। তবে গত সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জিয়াউদ্দিন বাবলুকে সভায় দেখা যায়নি।
সভাপতিমণ্ডলীর সভায় দলের অনেকে তাঁদের মান-অভিমানের কথা তুলে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ মনোনয়ন বাণিজ্য নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠনেরও অনুরোধ জানিয়েছেন।
সভার একটি সূত্র জানায়, জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সালমা ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘জাতীয় পার্টির জন্য এত ত্যাগ স্বীকার করলাম, আমার দলীয় মনোনয়নটাও হলো না। আমাকে অন্য প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে হলো।’
জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা সভায় বলেন, ‘শেখ হাসিনার সঙ্গে মহাজোট করেছি বলে আমরা এমপি হয়েছি। আমাদেরকে যেকোনো মূল্যে সরকারের সঙ্গে থাকতে হবে।’
সভার একটি সূত্র জানায়, উপস্থিত নেতাদের মধ্যে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ কোনো বক্তব্য দেননি। যেসব নেতা বক্তব্য দিয়েছেন তাঁরা সবাই দশম সংসদের মতো সরকারের মন্ত্রিত্ব গ্রহণ এবং একই সঙ্গে বিরোধী দলে আসন গ্রহণের বিষয়ে মত দিয়েছেন।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘প্রেসিডিয়াম সভায় আমরা নেতাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। বৃহস্পতিবার শপথের পর সংসদীয় দলের সভায় এ নিয়ে আলোচনা হবে। বিষয়টি নিয়ে মহাজোট পর্যায়েও আলোচনার প্রয়োজন হবে। সরকারে থাকব না বিরোধী দলে যাব এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নয়।’