দেশের খবর: নির্বাচনের দুদিন পর এবার বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের ঘোষণা দিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।
আওয়ামী লীগের টানা তৃতীয়বার সরকার গঠনকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে পশ্চিমা দেশ ও সংস্থাগুলো। দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসা বিদেশীরা ভোটের পরপরই ঘোষণা দিয়েছিলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে । পর্যবেক্ষকদের এই তালিকায় ভারত, নেপাল, কানাডা এবং ওআইসির প্রতিনিধিরা থাকলেও অনেকের আগ্রহ ছিলো, কি বলে পশ্চিমা দেশগুলো।
ফলাফল ঘোষণার পর একে একে ভারত, চীন, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান, সৌদি আরব, কাতার, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।
নির্বাচনের দুদিন পর এবার সে কাতারে সামিল হয়ে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর।
এ অবস্থায় সামনের দিনগুলোতে বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আর একে কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এসব অভিনন্দন বার্তায় মূলত দুটি দিককেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে পশ্চিমা সংস্থাগুলো। দীর্ঘ ১০ বছর পর সবার অংশগ্রহণে একটি নির্বাচনের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতির বিষয়টি নজর কাড়ে তাদের।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এন্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের মহাপরিচালক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ বলেন, ‘মানসিকতার পরিরর্তন একদিনে হয়নি। আমাদের কয়েক বছরে যাদের সাথে অংশীদারিত্বটা শক্তিশালী হয়ে উঠেছে সেটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘দেশগুলোর পক্ষ থেকে ইতিবাচকতা আমরা পেয়েছি এটা আমাদের জন্য উৎসাহ এই কারণে যে তাঁরা এই নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণের উৎসাহটা ইতিবাচক বলে মনে করছে।’
২০১৪ সালের পর সরকারকে অভিনন্দন জানাতে পশ্চিমাদের নানা টালবাহানার পর এবার এতো দ্রুত তাদের সাড়া দেয়ার ঘটনাকে সরকারের ১০ বছরের চলমান উন্নয়নের প্রতি বিশ্বের স্বীকৃতি হিসেবে দেখছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা আর কারো উপর নির্ভরশীল নই। আমরা এখন বাণিজ্যিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কূটনীতিতে সামনের দিনে বানিজ্য কূটনীতি সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে।’
বিদেশিদের অভিনন্দন সত্ত্বেও বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের প্রতি দেশের মানুষের যে আস্থার প্রতিফলন ঘটেছে, নানা গতিশীল, টেকসই পরিকল্পনা দিয়ে তা পাকাপোক্ত করতে হবে সরকারকেই।