মোস্তাফিজুর রহমান: আশাশুনি উপজেলা সদর ইউনিয়নের কয়েকটি অসহায় পরিবারকে চড়া সুদের কবল থেকে রক্ষা করলেন আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার দেব নাথ। ওসি বিপ্লব দেব নাথ জানান, মাস খানেক পূর্বে একাধিক পত্রিকায় ”আশাশুনিতে নাজমার চড়া সুদের কবলে নি:শ্ব বহু অসহায় পরিবার” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার চোখে পড়ে। তার কিছুক্ষন পরে আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও তাদের ক্লাবের কয়েক জন সাংবাদিক নের্র্তৃবৃন্দ উপজেলা সদর ইউনিয়নের ধান্যহাটি গ্রামের বাবুলাল অধিকারীর স্ত্রী লতিকা অধিকারিকে নিয়ে থানায় এসে একই গ্রামের সুদে কারবারী রশিদ সরদার ও তার সুদে মহাজন স্ত্রী নাজমা বেগমের কথা খুলে বলেন। এসময় তারা লতিকা অধিকারী, একই গ্রামের তারক সরকারের পুত্র সুখলাল সরকার, আশুতোষ সরকার ও প্রতিবন্ধী বসুদেব সরকার, ধর্মদাশ চক্রবর্তীর পুত্র তাপস চক্রবর্তী ও দেবদত্ত চক্রবর্তী যেভাবে সুদেমহাজন নাজমা বেগমের চড়া সুদের জালে জড়িয়ে নি:শ্ব হয়েছেন সে বিষয়টি আমাকে বলেন। এঘটনার পরের দিন লতিকা অধিকারীসহ অন্যান্যরা নাজমার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করলে বৃস্পতিবার সকাল ১০টায় আমি দু’ পক্ষকে নিয়ে থানায় বসি এবং সুষ্ঠ সমাধানের চেষ্টা করি। তিনি আরও বলেন, সুদ খোররা কখনও সুদে টাকা খাটানোর কথা শিকার করে না তারপরও অসহায় পরিবার গুলোকে সুদের কবল থেকে রক্ষা করতে পেরেছি। নাজমাকে সুদে কারবার ছেড়ে দেওয়া কড়া নির্দেশ এবং পুলিশের দায়িত্ব পালনের অংশ হিসাবে অসহায় পরিবার গুলোর পাশে দাড়াতে পেরেছি ব্যাস। থানার গোল ঘরে বিষটি মিমাংশার সময় উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নীলকন্ঠ সোম, উপজেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি সামছুল আলম ঢালী, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান, এস আই ইসমাইল হোসেন, আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সংগঠনিক সম্পাদক এম এম নূর আলম, সদস্য মাসুম বিল্লাহ, শাহিন আলম, বিএম আলাউদ্দীনসহ উপজেলার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। মিমাংশা শেষে কান্না জড়িদ কন্ঠে লতিকা অধিকারী বলেন, আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব ও থানার বড় সারের কারনে আজ থেকে আবারও স্বামী- সন্তান নিয়ে পৃথিবীতে বেঁচে থাকার ইচ্ছে ফিরে এলো। আশাশুনি রিপোর্টার্স ক্লাব যাহাতে আমার মুত অন্য অসহায় মানুষ গুলোর পাশে দাড়াতে পারে এ আর্শিবাদ করবো সব সময়।
পূর্ববর্তী পোস্ট