জি.এম আবুল হোসাইন : সদর উপজেলার মাধবকাটি বাজার থেকে ছয়ঘরিয়া ভোবার বটতলা পর্যন্ত প্রায় ৩ কি.মি.রাস্তা যানবাহন ও লোক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। শুধু সাধারণ মানুষই নন, এলাকার স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র- ছাত্রী, শিশু, চাকুরিজীবি, দিনমজুর, কৃষক, ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের এই রাস্তার সাথে রয়েছে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ। বলাডাঙ্গা, ছয়ঘরিয়া, অমরাবতী, ছাতিয়ানতলা, দত্তবাগ, দেবনগর সহ আরো ৫ – ৬ টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন এরাস্তা দিয়ে চলাচল করে। সংস্কারের অভাবে রাস্তাটিতে যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচল মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে।
এব্যাপারে ঝাউডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজমল উদ্দীন বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) রাস্তাটি সংস্কার করবে বলে এলজিইডি সুত্র থেকে জানা গেছে। জরুরি ভিত্তিতে রাস্তাটি সংস্কার করা না হলে জনসাধারণের সমস্যা প্রবল আকার ধারণ করবে। ইউনিয়ন পরিষদের পর্যাপ্ত বাজেট না থাকার কারণে এটি পরিষদের উদ্যোগে সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না বলে তিনি জানান। ৮নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি বাংলাদেশ বেতারের কবি ও নাট্যকার ডা. মো. সামছুজ্জামান দৈনিক ‘আজকের সাতক্ষীরা’কে জানান, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য যে পরিমান অর্থের প্রয়োজন, সরকারি তহবিল থেকে বরাদ্দ হয় তার চেয়ে অনেক কম। এজন্য অল্প বাজেটে দায়সারা ভাবে সংস্কার কাজ সম্পন্ন হওয়ার ফলে রাস্তাটিতে দেয়া নিম্নমানের পিচের প্রলেপটি দীর্ঘস্থায়ী হয় না। ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. শরিফুজ্জামান ময়না বলেন, এলাকাবাসির সুবিধার জন্য রাস্তাটির কিছু কিছু জায়গায় ইট ও রাবিশ দেয়া হয়েছে। ছয়ঘরিয়া বায়তুল মামুর জামে মসজিদ ও ছয়ঘরিয়া মন্দিরের সামনে রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ। যা দ্রুত সংস্কার করা না হলে এলাকাবাসির সমস্যার অন্ত নেই। এছাড়া বর্ষায় বৃষ্টির পানিতে রাস্তার দুপাশে ছোট- বড় গর্ত সহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। রাস্তার কিছু কিছু জায়গা ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ভ্যান, নছিমন, সাইকেল, মোটরসাইকেল সহ অন্নান্য যানবাহন চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। স্থাণীয় কৃষকেরা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। সেই সাথে দূরবর্তী এলাকার মানুষ উৎপাদিত পন্য পরিবহনের কারণে ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রতিনিয়তই এলাকার পথচারীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এলাকাবাসী যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার বিষয়টি তুলে ধরলেও কোন লাভ হয়নি। জরাজীর্ণ রাস্তাটি এভাবে আর কত দিন অবহেলিত থাকবে নাকি অচিরেই সংস্কার বা পুন:নির্মাণ হবে এ প্রত্যাশায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন এলাকাবাসি।
পূর্ববর্তী পোস্ট