অনলাইন ডেস্ক: সে এক ভয়াবহ সকাল। আজ থেকে ২৬ বছর আগে এক ভোরবেলা জন ববিটের ঘুম ভাঙে তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে, বুঝতে পারেন তার পুরুষাঙ্গটি নেই। রক্তে ভেসে যাচ্ছে বিছানা।
এদিকে, তার পুরুষাঙ্গটি কেটে নিয়ে পালিয়ে যান তার তৎকালীন স্ত্রী লোরেনা। ১৯৯৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি সেই সময়ে গণমাধ্যমে ঝড় তোলে।
নির্মম এ ঘটনার বিস্তারিত সম্পর্কে জানা যায়, জনের স্ত্রী লোরেন ছুরি দিয়ে স্বামীর পুরুষাঙ্গটি কেটে হাতে নিয়েই রাস্তা ধরে দৌড়েছিলেন। পুরো বিশ্ব তখন শিউরে উঠেছিল এই নৃশংসতায়।
বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, সেই সময়ে লোরেনা প্রকৃতিস্থ ছিলেন না। সাময়িক উন্মাদনার বশে তিনি এই কাণ্ড করে বসেন।
তবে আদালতে লোরেনা জানান, জন নাকি তাকে প্রায় ধর্ষণ করতেন। এমনকি যে সকালে ঘটনাটি ঘটে, তার আগের রাত্রেও জন তাকে ধর্ষণ করেছিলেন সম্প্রতি এবিসি নিউজের ২০/২০ নামে এক শো-তে আমন্ত্রণ করা হয় জনকে। সেখানেই নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া নির্যাতনের স্মৃতিচারণ করেন তিনি
সাক্ষাৎকারে জন জানান, রক্তে ভেসে যাওয়া সেই সকালে তিনি ভেবেছিলেন কোনো দুঃস্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু দ্রুত বুঝতে পারেন, কী হয়েছে। জনের পুরুষাঙ্গটি এক পুলিশ কর্মী খুঁজে পান। দ্রুত তা বরফে চাপা দিয়ে হাসপাতালে পুনঃস্থাপনের জন্য পাঠানো হয়। দীর্ঘ অস্ত্রোপচারের পরে জনের দেহে অঙ্গটি স্থাপন করা সম্ভব হয়।
জন আরও জানান, তার পুরুষাঙ্গ কর্তন করেছিলেন সাবেক স্ত্রী লোরেনা। সেই সময়ে লোরেনা প্রকৃতিস্থ ছিলেন না। সাময়িক উন্মাদনার বশে তিনি এই কাণ্ড করে বসেন। এরপর জন ববিটের নাম অনুসারে যৌনাঙ্গ কর্তনের ইংরেজি প্রতিশব্দই হয়ে দাঁড়ায় ‘ববিটিজম’।
বর্তমানে তিনি সুখী আছেন বলে জানিয়েছে জন। তার বর্তমান প্রেমিকার সঙ্গে তার মধুর সম্পর্ক। তবে সাবেক স্ত্রী লোরেনাকে ভুলতে পারেননি তিনি। প্রতি বছর ভালোবাসা দিবসে তাকে কার্ড পাঠান জন। লোরেনার প্রতি তার ব্যবহারের জন্য তিনি দুঃখিত।