খেলার খবর: ২০০৯-এ লাস ভেগাসের এক হোটেলে তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছিলেন ক্যাথরিন মায়োরগা নামের এক মহিলা। গত সেপ্টেম্বর নেভাদার আদালতে পর্তুগিজ তারকার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন মায়োরগা। ইতিমধ্যে রোনাল্ডোর বিরুদ্ধে ওঠা ভয়ানক অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে শুরু করেছে লাস ভেগাস পুলিশ। সেই লক্ষ্যে তদন্তও শুরু করেছে তারা।
এমতাবস্থায় লাস ভেগাস পুলিশ ডিপার্টমেন্টের তরফ থেকে রোনাল্ডোর ডিএনএ-র নমুনা সংগ্রহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোনাল্ডো যে মডেলের শয্যাসঙ্গিনী হয়ে থাকতে পারেন, তা কার্যত নিশ্চিত করে দিয়েছেন মহাতারকা ফুটবলারের আইনজীবী পিটার ক্রিশ্চিয়ানসেন। তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন, ‘মিস্টার রোনাল্ডো সব সময়ে বলেছেন, লাস ভেগাসের ঘটনা পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে হয়েছিল। তাই এটা আশ্চর্যের হবে না, যে ডিএনএ-র নমুনা মিলে যেতেই পারে।’
৩৪ বছরের তরুণী মডেল জার্মানির বিখ্যাত ‘ডের স্প্রিগেল’ পত্রিকায় জানিয়েছিলেন, লাস ভেগাসের ‘রেইন’ নাইট ক্লাবে ২০০৯ সালে রোনাল্ডোর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল তাঁর। তার পরে পাম প্লেস হোটেলে নিজের পেন্টহাউসে তাঁর সঙ্গে জোর করে পায়ুমৈথুন করেন রোনাল্ডো।
মায়োরগা ‘ডের স্প্রিগেল’-কে সেই রাতের দেওয়া রোনাল্ডোর বিবৃতি জানিয়েছিলেন। মায়োরগার বক্তব্য অনুযায়ী, সেই বিবৃতিতে রোনাল্ডোকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘বিশ্রীভাবে ওঁকে পিছন থেকে আক্রমণ করি। মায়োরগা বেশ কয়েকবার ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করে। সমস্ত কিছুর শেষে আমি ক্ষমা চেয়ে নিই।’
পরে রোনাল্ডো অস্বীকার করলে আইনি পথে এগোন মডেল।
রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে জুভেন্টাসে যোগ দেওয়ার পর থেকে রোনাল্ডো ইতালির তুরিনে বসবাস করছেন।
এদিকে, লাস ভেগাস মেট্রোপলিটন পুলিসের কর্মকর্তা লরা মেল্টজার পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, আরও পাঁচটা ধর্ষণ-কাণ্ডের মতোই সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে এই ব্যাপারটিকে। রোনাল্ডো মহাতারকা বলে তাঁকে কোনওরকম সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার প্রশ্নই নেই।