বিদেশের খবর: ২০০২ সালে ভারতে সাংবাদিক রাম চন্দ্র ছত্রপতিকে প্রকাশ্য গুলি করে হত্যা মামলায় বিতর্কিত ধর্মগুরু রামরহিম বাবাসহ চার অভিযুক্ত দোষী প্রামাণিত হলেন ভারতের পঞ্চকুলার বিশেষ সিবিআই আদালতে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, ২০০৬ সালে রাম রহিমের গাড়ির চালকের স্বীকারোক্তিতে ’খুনে’ রামরহিমের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার পঞ্চকুলায় সিটি কর্পোরেশনের ডিসিপি কমল দীপ গোয়ে ১৪৪ ধারা জারি করেন। রোহতকের সুনারিয়া জেলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
২০০২ সালের ২৪ অক্টোবর ‘পুরা সাচ’ পত্রিকার সাংবাদিক রামচন্দ্রকে প্রকাশ্যে গুলি করে করে কুলদীপ ও নির্মল নামের দুইজন দুর্বৃত্ত। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১ নভেম্বর দিল্লির হাসপাতালে মৃত্যু হয় রামচন্দ্রের। মামলা দায়েরর সময় রামরহিমের নাম ছিল না এফআইআরে। ২০০৩ সালে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। ২০০৬ সালে স্বঘোষিত ধর্মগুরু খট্টা সিংয়ের তথ্যের ভিত্তিতে রাম রহিমের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয় অভিযুক্তের তালিকায়। তদন্ত শেষে ২০০৭ সালে চার্জশিট দেয় সিবিআই।
উল্লেখ্য, রাম রহিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীকে চিঠি লিখেছিলেন সাধ্বীরা। সেই চিঠি নিজের পত্রিকায় ছাপান রাম চন্দ্র ছত্রপতি। শুধু ছাপানোই নয়, সেই চিঠি যাতে প্রধানমন্ত্রীর দফতর, সিবিআই ও আদালত পর্যন্ত পৌঁছয়, তাও নিশ্চিত করেছিলেন ওই সাংবাদিক। সাধ্বীদের ধর্ষণ মামলায় ২০১৭ সালে রাম রহিমকে ২০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। ভারতের রোহতকের সুনারিয়া জেলে বন্দি রয়েছেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু।
ধর্ষণ মামলায় রাম রহিম দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর হরিয়ানাজুড়ে হিংসা ছড়িয়েছিল রামরহিম ভক্তরা। সেই ঘটনার পর এদিন বিশাল পুলিশ বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিল পঞ্চকুলা আদালত চত্বর। হরিয়ানার পঞ্চকুলা, সিরসা ও রোহতক জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিসের দাঙ্গা দমন বাহিনী।