রাজনীতির খবর: আগামী মার্চে অনুষ্ঠেয় উপজেলা নির্বাচনে আলাদাভাবে অংশ নেবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা। তারা বলছেন, জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত না হওয়ায় প্রত্যেকে দলীয়ভাবে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেই অনুযায়ী দলের প্রার্থীও চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, উপজেলা নির্বাচনে জোটের শরিকরা আলাদাভাবে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সবাই সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, আমরা দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবো। তাছাড়া জোটগতভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়া অনেক ঝামেলার ব্যাপার।
প্রসঙ্গত: মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে ধাপে ধাপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
জোটের শরিকরা বলছেন, মন্ত্রিসভায় স্থান না পেয়ে জোটের শরিকরা অনেকে মনক্ষুণ্ন। এখন আবার উপজেলা নির্বাচনেও জোটের শরিকরা আলাদাভাবে অংশ নিতে যাচ্ছে। এইক্ষেত্রে জোটের মধ্যে আরও মনোমালিন্য বাড়বে। কারণ, জোটের শরিকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ কোনও সমঝোতা করেনি যে কোন দল কোন উপজেলায় প্রার্থী দেবে। আর কোন উপজেলায় প্রার্থী দেবে না। ফলে অধিকাংশ জায়গায় আওয়ামী লীগেরও প্রার্থী থাকবে আবার জোটের শরিকদেরও প্রার্থী থাকবে। তখন জোটের মধ্যে তো দ্বন্দ্ব অবধারিত হয়ে দাঁড়াবে।
জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার বলেন, এটা তো স্থানীয় সরকার নির্বাচন। ফলে জোটের মধ্যে তেমন কোন দ্বন্দ্ব সংঘাত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
সামব্যাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, আমরা নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবো।
জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, জোটগতভাবে নির্বাচন করার কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই আমরা দলগত ও দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এদিকে আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানান, যেহেতু উপজেলা নির্বাচনে বিএনপিসহ সরকার বিরোধী জোটগুলো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না, তাই ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে কোনও সমঝোতা হচ্ছে না। সবাইকে প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। যাতে করে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হচ্ছে তা দেখানো যায়। তবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোটের একক প্রার্থী নিশ্চিত করা হবে।
উল্লেখ্য. বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ আর কোনও নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন এবং বাম গণতান্ত্রিক জোটও উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না।