শিক্ষা সংবাদ: দেশের ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০১৯ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় সারাদেশে একযোগে এ পরীক্ষা শুরু হয়। এদিন অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষা চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে। এর মধ্যে ১০ লাখ ৭০ হাজার ৪৪১ জন ছাত্র এবং ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯২ জন ছাত্রী। দেশের তিন হাজার ৪৯৭টি কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৬৮২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেবে। বিদেশের আটটি কেন্দ্রেও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৭ লাখ ৪০ হাজার ৯৩৭ জন নিয়মিত। বাকিদের কেউ গত বছর এক বিষয়ে, কেউবা দুই ও ততোধিক বিষয়ে ফেল করেছিল। সব মিলে অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ৩ লাখ ৯১ হাজার ৫৪ জন; আর ফল উন্নয়ন প্রার্থী ৩ হাজার ৩৪২ জন।
গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১ লাখ ৩ হাজার ৪৩৪ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ৫৬ হাজার ২০৫ জন। বাকি ৪৭ হাজার ২২৯ জন ছাত্র। এবার বিজ্ঞানে পরীক্ষার্থী বেড়েছে। এ বছর ৫ লাখ ৪১ হাজার ৩৫৩ জন বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরীক্ষা দিচ্ছে। গত বছর বিজ্ঞানে পরীক্ষার্থী ছিল ৫ লাখ ৩ হাজার ৬২৭ জন।
এবারও বাংলা দ্বিতীয় পত্র এবং ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্য সব বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্নে পরীক্ষা হবে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই—এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী শ্রুতি লেখক সঙ্গে নিতে পারবে। তাদের ২০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হবে। আর অটিস্টিক ও ডাউন সিনড্রোম প্রতিবন্ধীরা অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময়ের পাশাপাশি শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দিতে পারবে।
উল্লেখ্য, সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চ, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ এবং কারিগরী শিক্ষা বোর্ডে ২৪ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।