নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা শহরে পৃথক চারটি রুটের চারটি স্থানে তিন মিনিটের বেশি যাত্রীবাহী বাস থামবে না। শহরে কোনও অনিবন্ধিত ইজিবাইক ও ইঞ্জিনভ্যান চলবে না। এ নিয়ম ভঙ্গ করলে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বাহিনী ও বিআরএ’র সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ টিম আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
জেলা প্রশাসন ও সাতক্ষীরা পৌরসভা বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) যৌথভাবে মাইকিং করে এ ঘোষণা প্রচার করেছে।
প্রচার মাইক থেকে বলা হয়, সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে সাতক্ষীরা-খুলনা রুটের নারকেলতলা মোড়ে তিন মিনিট, সাতক্ষীরা-যশোর রুটের কদমতলা মোড়ে তিন মিনিট, সাতক্ষীরা-কারিগঞ্জ রুটের কামালনগর সঙ্গীতা মোড়ে তিন মিনিট এবং সাতক্ষীরা-আশাশুনি রুটের পৌর দিঘিরপাড়ে (পিএন স্কুল মোড়) তিন মিনিট যাত্রীবাহী বাস থামবে। শহরের মধ্যে আর কোনও স্থানে কোনও যাত্রীবাহী বাস দাঁড়াতে পারবে না। বাস থামিয়ে কোনও যাত্রী ওঠানো বা নামানো যাবে না।
সাতক্ষীরা শহরের কোথাও কোন প্রকার অনিবন্ধিত ইজিবাইক বা ইঞ্জিনভ্যান চলতে পারবে না। জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত জেলা আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রশাসন সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ও যানজট নিরসনে এ কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, সাতক্ষীরা শহরে বর্তমানে ইজিবাইক, ইঞ্জিনভ্যান ও মোটরভ্যানের সংখ্যা ১০ থেকে ১২ হাজার। এছাড়া অন্যান্য যানবাহনও আছে। এতে করে প্রতিদিন শহরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হওয়ায় চরম দুর্ভোগের শিকার হন সাধারণ মানুষ। সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অনেকে মৃত্যুবরণ করছেন আবার অনেকে বরণ করছেন চির পঙ্গুত্ব। এর আগেও ইঞ্জিনভ্যান, মোটরভ্যান ও ইজিবাইকের বিরুদ্ধে কয়েকবার অভিযান পরিচালিত হলেও সেগুলো কার্যকরী হয়নি। ছোট্ট এ শহরের নেই দুই লেনের রাস্তা। একই রাস্তায় চলে দূরপাল্লার পরিবহন, বাস-ট্রাক, পিকআপ, মিনিট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহন। শহরের রাস্তায় এগুলো পার্কিং করায় সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট।
এ অবস্থায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল দখল ও দূষণমুক্ত শহর গড়তে ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলা নাগরিক সমাজের নেতারা।
জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, সাতক্ষীরা শহরকে নান্দনিক রূপে গড়ে তোলা হবে। দখল ও দূষণ থেকে চিরমুক্তি দেওয়া হবে শহরকে। নদী ও খাল দখলমুক্ত করা হচ্ছে। পরিবেশ সুরক্ষায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে।