অফারের মাধ্যমে গ্রাহককে প্রতারণার দায়ে দেশের শীর্ষ বেসরকারি মোবাইল ফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
রোববার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে কার্যালয়ে শুনানি শেষে এ জরিমানা করেন উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ।
গত ২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর আব্দুল্লাহ শিবলী সাদিক নামের এক ভোক্তা গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে অফারে প্রতারণার এ অভিযোগ করেন।
আব্দুল্লাহ শিবলী সাদিক লিখিত অভিযোগে বলেন, ‘আমি দারুণ ঈদ অফার নামের ২৮ দিন মেয়াদি এক জিবির সঙ্গে দুই জিবি ফ্রি একটি অফার কিনি। ভ্যাটসহ যার মূল্য ২৭৫ টাকা বলা হয়েছে।’
‘গত ২০১৫ সালের ৩ অক্টোবরে অফারটি গ্রহণ করি। আমার কাছ থেকে ২৭৫ টাকা পরিবর্তে এসডি ও ভ্যাটসহ ৩২৫ টাকা ৭৪ পয়সা নিয়ে নেয় গ্রামীণফোন কোম্পানি। পরে একটি এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হয়। বোনাসের মেয়াদ অর্থাৎ ফ্রি ২ জিবির মেয়াদ সাত দিন এবং ব্যবহারের সময় রাত ২টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেওয়া হয়।’
আব্দুল্লাহ শিবলী সাদিকের অভিযোগ, বিশেষ ঈদ অফারের এসএমএসে কোনো শর্তের বিষয় উল্লেখ ছিল না।
জানা যায়, এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪৪ ধারায় অর্থাৎ মিথ্যা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগে দুই লাখ টাকা এবং ৪৫ ধারায় অর্থাৎ প্রতিশ্রুতি পণ্য যথাযথভাবে সরবরাহ না করায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে অধিদপ্তরের উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ জানান, জরিমানার টাকা দেওয়ার জন্য গ্রামীণফোন পাঁচ কার্যদিবস সময় চেয়েছে। আমরা তাঁদের সময় দিয়েছি।
শাহীন আরা মমতাজ বলেন, ফোন কোম্পানিগুলো মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভোক্তাদের প্রতারিত করছে। যা ভোক্তা অধিকার হরণ করে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তিনি আরো বলেন, প্রত্যেক ভোক্তাকে সচেতন হতে হবে। আর এর জন্য ভোক্তা অধিকা আইনগুলো ভালোভাবে জানা থাকলে তাঁর জন্য অভিযোগ করা সহজ হয়।