নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে আমরা দূর্বার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে আইসিটি ডিভিশন লিভিরাগিং আইসিটি প্রজেক্টের আয়োজনে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর লিয়াকত পারভেজ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। এ সময় তিনি বলেন, ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি তরুণদের সামনে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। শিক্ষিত তরুণেরা এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে নিজের ক্যারিয়ারকে যেমন বিকশিত করতে পারে, তেমনি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের কাঙ্খিত লক্ষ্য পুরণে ভুমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশের তরুণেরা ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রাণ শক্তি। আমাদের জন্য নতুন আশার সঞ্চারক। আইটি খাতে তাদের সম্পৃক্ততা যত বৃদ্ধি পাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের গতি তত দ্রুত তরান্বিত হবে। ২০২১ সাল নাগাত আইসিটি রপ্তানির পরিমাণ ৫ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা পুরণ এবং আইটি পেশাজীবিদের সংখ্যা ২ মিলিয়নে উন্নীত করার জন্য দেশে আইটি শিল্পের প্রসার ও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। আইটি শিল্পের প্রসার ও কর্মসংস্থানের জন্য সরকার নানা ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। দেশের ১২টি হাইটেক পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। যশোরে সফটওয়্যার পার্ক নির্মাণ সমাপ্তির পথে। কালিয়াকৈরে হাইটেক পার্কের উন্নয়ন দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। এটি সমাপ্তি হলে প্রায় ৭০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়! আমরা বাস্তবে দেখতে পাচ্ছি। বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে আজ ডিজিটালের ছোয়া লেগেছে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে সারা বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয় চলে এসেছে।’ অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সরকারি কলেজের শিক্ষক পর্ষদ সম্পাদক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. আবুল কালাম আজাদ। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন এলআইসিটি প্রজেক্টের কমিউনিকেশন স্পেসালিস্ট হাসান বেনাউল ইসলাম, এলআইসিটি খুলনার কমিউনিটি লিড নিপা খাতুন প্রমুখ। আইসিটি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশের মানুষদের এগিয়ে নিতে সারা দেশব্যাপী চলছে এ ক্যাম্প। সাতক্ষীরা ৪৬ তম জেলা হিসেবে এ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্যাম্পে জেলার বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সরকারি কলেজের সহকারি অধ্যাপক কাজী আসাদুল ইসলাম।
পূর্ববর্তী পোস্ট