আসাদুজ্জামান: সাতক্ষীরার ব্রহ্মরাজপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এক ইউপি সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় ধুলিহর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবু সানাসহ ২৩ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার রাতে ইউপি সদস্য রেজাউল করিম মিঠু বাদী সদর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামীরা হলেন, সদর উপজেলার ধুলিহর গ্রামের মৃত মানিক উদ্দীন সানার ছেলে ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবু সানা, একই গ্রামের মোহাম্মদের ছেলে শামীম, জাহান আলীর ছেলে মিঠু, নুরমান মন্ডলের ছেলে সোহারাব, কিনু মন্ডলের ছেলে রুহুল আমিন, মৃত আমের আলীর ছেলে মনিরুল ইসলাম, যুগিপোতা গ্রামের মৃত একোব্বর আলীর ছেলে আব্দুল হামিদ, গোবিন্দপুর গ্রামের ফজর আলীর ছেলে শরিফুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন।
মামলার বিবরনে জানা যায়, শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের বড়খামার গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ গাজীর ছেলে ৬নং ওয়ার্ড সদস্য রেজাউল করিম মিঠূ তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান নয়ন ট্রেডার্সে বসে ছিলেন। এসময় সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দলাদলির বিষয় ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে উপরোক্ত আসামীরাসহ অজ্ঞাত আরো ১০/১৫ জন বহিরাগত সন্ত্রাসী ইউপি চেয়ারম্যান বাবু সানার নির্দেশে বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ হইয়া হাতে ধারালৈা গাছ কাটা দা, রামদা ও লোহার রড, জিআই পাইপ, লাঠিসহ দেশী তৈরী অস্ত্র নিয়ে সজ্জিত হয়ে আসামীরা ইউপি সদস্য রেজাউল করিম মিঠুকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে গুরুতর আহত ও জখম করে। এ ঘটনায় মিঠু বাদী হয়ে রাতেই উপরোক্ত ২৩ জনের নামে সাতক্ষীরা থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা নং-৪৩, তাং-২৩/০৩/২০১৯ ইং।
তবে, এ হামলার ঘটনায় নিজের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান বাবু সানা জানান, হামলা ও অবরোধের সময় আমি ইউনিয়ন পরিষদে ছিলাম। বাজারে কি ঘটেছে, পরে তা আমি শুনেছি। তিনি নিজে ঘটনাস্থলে ছিলেননা বা ঘটনার সাথে তার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবী করেন এই চেয়ারম্যান।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান মামলা রেকর্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তিনি আরো জানান, আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট